বাংলাদেশের মসনদে রাজাকারদের বাপ। তিনি মুছে দিতে চাইছেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি। নাম না করে এভাবেই মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) সমালোচনায় সরব লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)।
বাংলাদেশের অতি পরিচিত শব্দ রাজাকার। অপাক বাংলায় দেশের বিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থীদের বলা হতো রাজাকার। এই শব্দ নিয়ে গত জুলাইতেও নানা বিতর্ক হয়েছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য ঘিরে। সেদেশের অনেকেই নিজেকে রাজাকার বলে দাবি করেন। সেই উত্তেজক পরিস্থিতিতেই দেশ ছাড়েন হাসিনা।
অনেকটা এভাবেই দেশ ছাড়তে হয়েছিল তসলিমা নাসরিনকে। লেখিকার কলম গর্জে উঠেছিল মৌলবাদের বিরুদ্ধে। ধর্মীয় মৌলবাদিদের চাপে বাংলাদেশ ছাড়েন তসলিমা। প্রবাসে সাক্ষাতের সময় তাঁকে দেশে ফেরার কথা বলেন মহম্মদ ইউনূস। যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তবর্তিকালীন প্রধানমন্ত্রী।
সেই ইউনূসকেই আক্রমণ করেছেন তসলিমা নাসরিন। তবে নাম উল্লেখ করেননি। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “আমরা রাজাকারের বাচ্চাদের সমালোচনা করতে ব্যস্ত ছিলাম। রাজাকারের বাচ্চারা তাদের রাজাকার বাপকে গদিতে বসিয়েছে। বাপ যে বিশাল রাজাকার তা জানাই ছিল না। যুবক থাকা সত্ত্বেও তাই তো তিনি মুক্তিযুদ্ধে যাননি। এখন প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গেছে । খসে গেছে মুখোশ। প্রকাশ হচ্ছে তাঁর রাজাকার প্রীতি, তিনি ইরেজ করে দিতে চাইছেন গোটা মুক্তিযুদ্ধ।”
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের থেকে বিচ্ছিন্ন হয় বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তান। নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ভাষার দাবিতে সেই আন্দোলনকে বলা হয় মুক্তিযুদ্ধ। আন্দোলনে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া ব্যক্তিদের বলা হয় রাজাকার।
নাম না করে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে রাজাকারদের বাপ বলে কটাক্ষ করেছেন তসলিমা। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে দিকে চাইছেন ইউনূস।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে মহম্মদ ইউনূস জানান, মুক্তিযুদ্ধ বা মুজিব এখন অতীত। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ইউনূসের ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই সরব হয়েছেন তসলিমা নাসরিন।