বাংলাদেশের (Bangladesh) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার এক মর্মান্তিক রায় ঘোষণা করেছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হয়েছে। তবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন একই মামলায় মাত্র ৫ বছরের জেল পেয়েছেন। এই রায়
৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে নির্বাসনে আছেন এবং ট্রাইব্যুনালের ডাক উপেক্ষা করে দেশে ফেরেননি। আসাদুজ্জামান খান কামালও দেশ ত্যাগ করেছেন এবং বিচার কার্যক্রমে অনুপস্থিত। অন্যদিকে, সাবেক আইজিপি আল-মামুন কারাগারে রয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, আল-মামুন মামলার অভিযোগগুলো স্বীকার করেছেন এবং রাষ্ট্রের সাক্ষী হিসেবে ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। জুলাই মাসে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আল-মামুনের আবেদনের ওপর অনুমোদন দেয় যাতে তিনি রাষ্ট্রের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে পারেন। এই পদক্ষেপটি তাকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রক্ষা করেছে। মামলার পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, মামলার মূল প্রক্রিয়ায় আল-মামুন আদালতকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি অভিযোগ স্বীকার করছেন এবং মামলার তদন্তে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করতে প্রস্তুত আছেন।
জুলাইয়ের শুনানির সময় ট্রাইব্যুনাল আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো উচ্চারণ করে জানতে চেয়েছিল যে, তিনি কি দায় স্বীকার করছেন। আল-মামুন উত্তর দেন যে, তিনি সব অভিযোগ স্বীকার করছেন এবং ট্রাইব্যুনালের সহযোগিতায় অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করতে ইচ্ছুক। এই স্বীকারোক্তি ও সাক্ষী হওয়ার প্রস্তাব তার জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে।
ট্রাইব্যুনালের এই রায়কে ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন প্রধানদোষী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে **সর্বোচ্চ শাস্তি** দেওয়া হয়েছে, কিন্তু অপর প্রভাবশালী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে সাজা কমানো হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আল-মামুনের সহযোগিতা এবং রাষ্ট্রকে প্রমাণাদি দেওয়ার প্রস্তাব তাকে রক্ষা করেছে।
এই মামলায় হত্যাচেষ্টা, নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দমনসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ট্রাইব্যুনাল আদালত বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে যে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল দেশে ফিরে মামলার মুখোমুখি না হওয়ায় তাদের উপস্থিতিতে রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।


