ভারতে অবস্থানরত গোপন স্থান থেকে শেখ হাসিনার ভাষণ শুরু হবার আগেই তার পিতা তথা বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে ভাঙচুর শুরু। হাজার হাজার জনতা ঘিরেছে সেই বাড়ি। পুলিশের সামনেই সেই বাড়িতে ভাঙচুর শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের স্লোগান মুজিব নিপাত যাক।
বাংলাদেশে গণহত্যা চালানোয় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের ধাক্কায় পালিয়ে ভারতে আশ্রিত। তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিতে দাবি উঠেছে। শেখ হাসিনা লাইভ ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে। তার ভাষণ ফেসবুকে সম্প্রচার করবে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। এই সংগঠনটি শেখ হাসিনার নেত্বাধীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন। এই সংগঠনের তরফে ঘোষণার পরেই বাংলাদেশ গরম হয়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের তরফে বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ঘিরে হাজার হাজার জনতা বুলডোজার নিয়ে মিছিল করে। ঘোষণা করা হয় শেখ হাসিনার ভাষণ শুরু হলেই বাড়িটি ভাঙা হবে। বাংলাদেশের অন্যতম অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য আহ্বান করেছিলেন, পলাতক শেখ হাসিনার ভাষণ বাংলাদেশে সম্প্রচার করা যাবে না।
গতবছর ৫ আগস্ট রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে পালিয়ে যান বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনই মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছিল। এদিন ফের বিপুল জনতার আক্রোশ গিয়ে পড়ল সেই পোড়ো বাড়িতেই। বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে জড়িত ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি। এই বাড়িতেই ১৯৭৫ সালে গুলি করে সপরিবারে খুন করা হয়েছিল বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণার প্রতিবাদে বুধবার ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। ছাত্র-জনতা আন্দোলন নামে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজে এই কর্মসূচির ঘোষণা করে পোস্ট করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক বলেন, ধানমন্ডি-৩২ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেহেতু বিভিন্ন ঘোষণা আসছে এবং কেউ কেউ ধানমন্ডি-৩২ এর দিকে আসতে পারে ও ভাঙচুর চালাতে পারে, তাই আমরা আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।