জঙ্গি মিছিল আটকাতে নামল বাংলাদেশের সেনা। তীব্র উত্তেজনা ঢাকায়। পুলিশ ও সেনার মুখোমুখি বাংলাদেশের নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর সংগঠন। এই সংগঠনটির প্রকাশ্য সমাবেশ ও মিছিল ঘিরে আতঙ্কিত ঢাকাবাসী।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ তথ্য বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, হিযবুত তাহরীর (মুক্তির দল) দলটির লক্ষ্য হল ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করা ও বিশ্বব্যাপী ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করা। হিজবুত তাহরীর বাংলাদেশ,চিন,রাশিয়া, পাকিস্তান, জার্মানি,তুরস্ক, ইংল্যান্ড ,কাজাখস্তান এবং সমস্ত মধ্য এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সমস্ত মধ্যপ্রাচ্যে (লেবানন, ইয়েমেন ব্যতীত) নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ‘মার্চ ফর খিলাফত’ শুরু হবে বলে ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে মিছ্ল শুরু করে সংগঠনটির কয়েক হাজার সমর্থক।
হিযবুত তাহরীর সংগঠন উগ্র মিছিলের সামনে অবস্থান নেয় সেনা। শুরু হয় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ। ঢাকা গরম।
হিজবুত তাহরীরের কয়েক হাজার সমর্থক‘মুক্তির একপথ, খিলাফত খিলাফত’ এই স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করে। জানা যায়, তুরস্কে খিলাফত পতনের ১০১ বছরের প্রেক্ষাপটে এই কর্মসূচি ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।
হিযবুত তাহরীরের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। বার্তায় বলা হয়, হিযবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষিত যে কোনো সংগঠনের কার্যক্রম দণ্ডনীয় অপরাধ। এর আওতায় হিযবুত তাহরীরের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ বা প্রচারের যেকোনো প্রচেষ্টা আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সংগঠনটির যে কোনো কার্যক্রম বেআইনি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর যে কোনো প্রচারণামূলক কার্যক্রম কঠোর নজরদারিতে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে তা দমনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।