ছাত্র-়ছাত্রীদের সামনে ফের বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার অসহায়। কোনো নিরাপত্তারক্ষী তাদের বাধা দিতে সাহস করল না। প্রথমে সরকারের সচিবালয় ঘিরে পরে শিক্ষামন্ত্রকের ‘দখল’ নিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। নতুন করে ছাত্র আন্দোলনে গরম বাংলাদেশ।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ম সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলনেই ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ৫ আগস্ট থেকে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রিত। তিনি দিল্লি থেকে দেখলেন ঢাকার ক্ষমতায় আসা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে চলা অন্তর্বর্তী সরকারের অসহায় পরিস্থিতি। এবার পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলনের শুরু করেছেন।
ছাত্র আন্দোলনে কাঁপছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও বারবার ছাত্র আন্দোলনের যৌথ মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারিতে বলা হয়েছে দরকার পড়লে আপনাকেও উপড়ে ফেলা হবে।
বাংলাদেশে উচ্চমাধ্যমিক অনিশ্চিত, ছাত্র আন্দোলনে কাঁপছে ড. ইউনূসের সরকার
পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলনের শুরু করেছেন। তাদের দাবি, রক্তক্ষয়ী কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বন্ধ হয়। পড়ুয়ারা বলছেন, দেড় মাসের পরীক্ষা আমরা কয়েক মাস ধরে ঝুলে আছি। সরকার পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাস বা সর্বাত্মক পাস করাক।
উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রকের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে শিক্ষা মন্ত্রকের ভেতরে ঢুকে পড়েন পড়ুয়ারা। তারা স্লোগান দেন ‘আমাদের দাবি একটাই-পরীক্ষা বাতিল চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই পরীক্ষা বাতিল চাই’ ‘যুক্তি দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’। তারা বলেন, বর্তমান সরকার আমাদের কয়েকদিন আগেও জানিয়েছিল সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে পরীক্ষা হবে। তাহলে আরও এক মাস লাগবে পরীক্ষার জন্য। এরপর এক মাসব্যাপী পরীক্ষা হবে। এত সময় নিলে আমাদের ফলাফল প্রকাশ করবে কখন? আর আমরা ভর্তি হব কবে?