বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে, তাদের দাবি করেছে যে তারা শোনা যাচ্ছে যে ভারতের কাছে তাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রত্যর্পণ অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হতে পারে।
ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর, ভারতের ন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেলে একটি নোট ভারবাল পাঠিয়েছে, যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছে প্রত্যর্পণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। তাদের দাবি, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি এবং ২০১৬ সালে সংশোধিত চুক্তি অনুযায়ী এটি সম্ভব হবে। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশই আইনি কাঠামোতে একে অপরকে অপরাধীদের প্রত্যর্পণ করার সুযোগ পায়।
গুরুতর অসুস্থ জেলবন্দী সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ! নববর্ষে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন ইস্কনের
‘ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে না’
যখন মিডিয়া তাদের কাছে জানতে চেয়েছিল যে হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না এবং ভারতের পক্ষ থেকে তার ভারতস্থ অবস্থা সম্পর্কে তাদের কোনো মন্তব্য রয়েছে কিনা, তখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, “আমাদের পর্যবেক্ষণ হল যে, তারা একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে না। আমরা এমনটাই শুনেছি।”
এই মন্তব্য তিনি রবিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত “নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা: অভ্যন্তরীণ সংস্কার এবং পররাষ্ট্রনীতি” শীর্ষক একটি বৈদেশিক নীতি সংলাপে অংশগ্রহণের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে দেন। এতে তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরেই শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে আসছে, কিন্তু ভারত এ বিষয়ে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থান নিতেই বেছে নিয়েছে।
বাংলাদেশ অশান্ত, রাজ্যেকে সন্ত্রাসের ‘বধ্যভূমি’ হতে দেব না, আশ্বাস রাজীব কুমারের
শেখ হাসিনার ভার অবস্থান
মাহফুজ আলমের ভাষ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে অবস্থান করছেন এবং বাংলাদেশ সরকার তার প্রত্যর্পণ চাচ্ছে, যদিও ভারতের সরকার এই বিষয়টি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে, ভারতের সরকার মনে করে যে, হাসিনার বাংলাদেশে ফেরত যাওয়া না হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে এবং এটি তাদের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে, আসলে একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ক্ষমতায় রয়েছে, এবং তাদের মূল লক্ষ্য হল দেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, শেখ হাসিনার ফেরত আসলে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে। মাহফুজ আলম একে “রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত” হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে, ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাদের এই সিদ্ধান্তে প্রভাবিত করেছে।
এটা রাজনীতির সময় নয়, মনমোহনের অন্তোষ্টিক্রিয়া নিয়ে কংগ্রেসকে পাল্টা কটাক্ষ কেন্দ্রের
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
এতদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত সুসম্পর্কিত ছিল, এবং এমন কোনো সংকট ছিল না যা দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করত। তবে এই নতুন পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এটি দুই দেশের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে।