Bangladesh: বঙ্গোপসাগরে ‘গণহত্যা’, জলদস্যু নাকি জেলেরা খুন? ১০ জনের দেহ উদ্ধার

বঙ্গোপসাগর তীরে আটকে পড়া এক নৌকা থেকে দশজনের পচা গলা দেহ উদ্ধার করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)  উপকূলরক্ষী বাহিনী। কাদের দেহ? এ নিয়ে তীব্র কৌতুহল। প্রতিটি দেহে…

বঙ্গোপসাগর তীরে আটকে পড়া এক নৌকা থেকে দশজনের পচা গলা দেহ উদ্ধার করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)  উপকূলরক্ষী বাহিনী। কাদের দেহ? এ নিয়ে তীব্র কৌতুহল। প্রতিটি দেহে আছে আঘাতের চিহ্ন। পচা গলা দেহগুলি দেখে পরিচয় জানার উপায় নেই।

তবে তদম্তে নেমে কক্সবাজারের পুলিশ জানাচ্ছে, স্থানীয়রা বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে ওই দশটি দেহ জলদস্যুদের। তাদের সাথে একদল জেলের সংঘর্ষ হয়েছিল মাঝ সাগরে। জেলেদের হাতেই দশ জলদস্যু খুন হয়েছে। তদন্ত চলছে। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে জেলেদের মৃতদেহ বলেও দাবি করছেন অনেকে। সবনিলে তীব্র চাঞ্চল্য। বঙ্গোপসাগরের বুকে গণহত্যা ঘটে গিয়েছে।

রবিবার চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার উপকূলের নাজিরারটেক পয়েন্টে ভেসে আসে একটি মাছ ধরা ট্রলার। সেই ট্রলারের ক্লোডস্টোর অর্থাৎ মাছ রাখার স্থান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ১০ জনের গলা পচা দেহ উদ্ধার করা হয়। এর জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

নাজিরারটেক পয়েন্টের বাসিন্দারা বলছেন, সাগরে একটি ট্রলার ভাসতে দেখে অপর একটি মাছ ধরার ট্রলার সেটিকে টেনে তীরে নিয়ে আসে। কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, পরে ভিতরে দেখা যায়  গলিত বেশকয়েকটি দেহ। এর পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দিন ১৫ আগে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে একদল জলদস্যু ও জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তারপর থেকে আর জলদস্যুদের খোঁজ মেলেনি উদ্ধার হওয়া দেহগুলো জলদস্যুদের বলে মনে করছে স্থানীয়রা।