Sheikh Hasina: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক অপহরণ ও গুমখুনের প্রমাণ: হিউম্যান রাইটস

বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে পলাতক শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে গুমখুন ও অপহরণের একাধিক প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা (HRW) হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।…

বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে পলাতক শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে গুমখুন ও অপহরণের একাধিক প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা (HRW) হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গতবছর বাংলাদেশে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে আশ্রিত। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে গণহত্যায় জড়িত থাকার মামলা চলছে। দাবি উঠেছে হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি দিতে হবে।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (HRW) প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশে গুমের (অপহরণ) ঘটনা তদারকিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কয়েকজন শীর্ষ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা জড়িত।

   

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (HRW) বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার বিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ‘আফটার দ্য মনসুন রেভ্যুলিউশন: এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার টানা তিন দফার সরকার চালানোর সময় বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নথি তুলে ধরা হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে,শেখ হাসিনা ও শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুমের (অপহরণ) ঘটনা তদারকিতে যুক্ত ছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তকারী জাতীয় কমিশন ১৪ ডিসেম্বর তাদের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটেছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, জোরপূর্বক গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারাই স্বীকার করেছেন, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ গুম করে রাখার বিষয়ে অবগত ছিলেন। এই সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ভেঙে দিতে সরকারের জাতীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করা উচিত।

বাংলাদেশে টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতাসীন ছিলেন শেখ হাসিনা। অভিযোগ, ক্ষমতা ধরে রাখতে তিনি ভুয়ো নির্বাচন করাতেন। সেই নির্বাচনে একতরফা জয়ী হতো তার দল আওয়ামী লীগ। আর সংসনে একটি পুতুল বিরোধী দল রাখতেন হাসিনা। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ছিল সেরকমই বিরোধীদল। এই দলটি সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে তদানীন্তন সরকারপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করে ভোটে নেমেছিল। উল্লেখ্য গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনার পতনের পর জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন তাদের জবরদস্তি নির্বাচনে অংশ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশে টানা পনের বছরের শেখ হাসিনার শাসনকে স্বৈরাচারী বলে চিহ্নিত করেছে দেশটির পূর্বতন শাসকদল বিএনপি। তারা গত কয়েকটি নির্বাচন বয়কট করেছিল। তবে বিএনপি শাসনেও নির্বাচন কুক্ষিগত করার অভিযোগ আছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জামাত ইসলামিসহ বিভিন্ন দল শেখ হাসিনারে স্বৈরাচারী চিহ্নিত করেছে।