Banagladesh: পাক মদতে ‘গণহত্যাকারী’ বন্দি জামাত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদির মৃত্যু

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের (Bangladesh) মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি পাক সেনার মদতকারী হিসেবে জামাত ইসলামির শীর্ষ নেতা দেলায়ার হোসাইন সাঈদির বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল…

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের (Bangladesh) মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি পাক সেনার মদতকারী হিসেবে জামাত ইসলামির শীর্ষ নেতা দেলায়ার হোসাইন সাঈদির বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল। উচ্চ আপিলে হয়েছিল যাবজ্জীবন জেলের সাজা। বন্দি অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হলে ‘দেইল্যা রাজাকার’ বলে কুখ্যাত দেলোয়ার হোসাইন সাঈদির।

গণহত্যাকারী হিসেবে কুখ্যাত এই দেলাওয়ার সাঈদি বিএনপি জোট সরকারের আমলে জিতে সংসদ সদস্য হয়। সোমবার ঢাকার বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশের জামাত ইসলামি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের একটা কুখ্যাত পর্ব শেষ হল বলে মনে করছেন প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধারা। বারবার সাঈদিকে ফাঁসি দেওয়ার আবেদন উঠেছে। তবে আইনি পথে তার মৃত্যুদণ্ড রোধ হয়ে যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় জেলেই গত এক দশকের বেশি সময় ঠিকানা ছিল সাঈদির।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। কমপক্ষে তিরিশ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। পাক সেনার সাথে বাংলাদেশি মুক্তিবাহিনীর সংঘর্ষ চলাকালীন জামাত ইসলামির সদস্য ও নেতৃত্ব সরাসরি গণধর্ষণ, গণহত্যায় জড়িত প্রমাণ হওয়ায় একাধিক নেতার ফাঁসি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।