Porimoni: নিশিরাতে পরীমণির গোপন বন্ধু দুঁদে পুলিশ কর্তা, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

মাদক কারবার মামলায় জেল গেছিলেন (Porimoni) পরীমণি। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম অভিনেত্রী যাকে জেলে ঢুকতে হয়েছিল। একাধিক বিয়ে করায় বিতর্কিত অভিনেত্রীর এবার গোপন অভিসার এল প্রকাশ্যে।…

মাদক কারবার মামলায় জেল গেছিলেন (Porimoni) পরীমণি। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম অভিনেত্রী যাকে জেলে ঢুকতে হয়েছিল। একাধিক বিয়ে করায় বিতর্কিত অভিনেত্রীর এবার গোপন অভিসার এল প্রকাশ্যে। অভিযুক্ত গোলাম সাকলায়েন শিথিল। বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে ছিলেন। তার সঙ্গে পরীমণির সম্পর্ক বিশেষ ঘনিষ্ঠ ছিল বলেই তদন্তে উঠে এসেছে।

পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্বে ছিলেন সাকলায়েন। পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসার পর তীব্র বিতর্ক চলছে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে বদলি করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, পরীমণির সঙ্গে নিয়মিত রাত্রিযাপন করতেন সাকলায়েন।

   

পুলিশ কর্তা সাকলায়েন ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি বিভিন্ন সময় দিনে ও রাতে অবস্থান করতেন বলে মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণ মিলেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়। শৃঙ্খলা শাখার প্রতিবেদনে বলা হয়, পরীমণির সঙ্গে সাকলায়েনের ঘটনাক্রমে দেখা হয় এবং যোগাযোগ আরম্ভ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নায়িকার সঙ্গে নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন সাকলায়েন।

পরীমণির মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে দুজনের আদান-প্রদান করা মেসেজ (২০২১ সালের ২৯ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত) সামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির ফেসবুক আইডি ও গোলাম সাকলায়েন সিথিল নামে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথোপকথন এবং তাদের হোয়াটসআ্যাপ নম্বরে (২০২১ সালের ১১ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত) কথোপকথন সাধারণ পরিচিতি বা পেশাগত প্রয়োজনে স্থাপিত কোনো সম্পর্কের নয়। বরং অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক।

সাকলায়েন তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে পরীমণির সঙ্গ দিতেন। সাকলায়েন ও পরীমণির সম্পর্কের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনমনে এ বিষয়ে নানারূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার জন্ম দেয়। সাকলায়েন বাংলাদেশ পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্বের বাহিরে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।

রিপোর্টে উঠে এসেছে সাকলায়েন বিবাহিত ও এক সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও পরীমণির সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, পরীমণির সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবনে নিজ স্ত্রীর অবর্তমানে সময় কাটানোর মতো ঘটনা বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। উল্লিখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।