বঙ্গোপসাগর তীরে থাকা বাংলাদেশের (Bangladesh) সবকটি সৈকতে পর্যটকদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে। দুর্গাপূজা (Durgapuja) উপলক্ষ্যে এই প্রথম বাংলাদেশে চারদিনের ছুটির মেজাজ। সৈকত ছাড়া বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে আসা যাওয়ার রাস্তায় প্রবল ভিড়। বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় চট্টগ্রামের সৈকত শহর কক্সবাজার, বরিশালের সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের শাসনে দুর্গাপূজায় ছুটি থাকলেও টানা চারদিন ছুটি মেলেনি। গত ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভে হাসিনার শাসন শেষ হয়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস জানান দুর্গোৎসবে ছুটি বাড়বে।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব। এই উৎসব ঘিরে টানা ৪ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটক সমাগম বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। ৯০ থেকে ৯৮ শতাংশ হোটেল ভর্তি হয়ে গেছে। সাধারণত ইদ উৎসব বা বর্ষবরণের সময় এমন দেখা যায়।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল মোটেল প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১ লাখ ২০ হাজারের অধিক পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটক সমাগম সমান থাকবে কক্সবাজারে। এরমধ্যে ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ হোটেল রুম বুকিং হয়েছে। আর ১৪ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। তবে পর্যটক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু আবাসিক প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন পর্যটকরা।
কক্সবাজারের জেলাশাসক মহম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ভ্রমণপিপাসুদের বিচরণ নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছেন। কোথাও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ দেওয়া আছে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, পর্যটক এবং পূজা ঘিরে সৈকতের প্রবেশপথে তল্লাশি চৌকি স্থাপন, পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।