Bangladesh: একই গাছে ৫ বার ধান! বাংলাদেশি বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরীর সৃষ্টি ‘পঞ্চব্রীহি’

একই গাছ থেকে পাঁচবার ফলন এমন নতুন গাছ উদ্ভাবন করে চমক সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশি (Bangladesh) এক বিজ্ঞানী। দীর্ঘদিন ধরে ধান নিয়ে কাজ করছেন জিন প্রযুক্তি…

Bangladesh

একই গাছ থেকে পাঁচবার ফলন এমন নতুন গাছ উদ্ভাবন করে চমক সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশি (Bangladesh) এক বিজ্ঞানী। দীর্ঘদিন ধরে ধান নিয়ে কাজ করছেন জিন প্রযুক্তি বিজ্ঞানী (Dr Abed Chaudhury) ডক্টর আবেদ চৌধুরী। সেই গবেষণার ফসল হিসেবে গবেষণার নতুন ধান গাছ ‘পঞ্চব্রীহি’ উদ্ভাবন করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

বছরের যে কোনও সময়ে এই ধান রোপণ করা যায়। আবেদ চৌধুরী পঞ্চব্রীহি ধানকে ঋতু নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। আবেদন চৌধুরীর লক্ষ ছিল জমিতে একবার রোপণ করে একাধিকবার ফসল কাটবেন। এতে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমবে ও আয় বাড়বে। তিনি সেটা করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু এক ধানগাছ থেকে ৫ বার ফলন নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। যাতে ৬ বার একই গাছ থেকে ধান পাওয়া যায়, এই নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন।

   

শুধু পাঁচ বারেই তিনি থেমে থাকবেন না। এখন তিনি বছরের ছয়বার ফসল পাওয়া নিয়ে কাজ করছেন। ২০০৫ সালে প্রথম ২৫ বর্গমিটার জমিতে বৃষ্টি ধানের জাত নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আবেদ চৌধুরী।

Bangladesh

স্থানীয় জাতের ধানের সঙ্গে উন্নত মনের ধানের বীজ সংকরায়ন করে এই উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত পাওয়া যায়। নতুন জাতের নাম দেওয়া হয়েছে পঞ্চব্রীহি। এই ধান উৎপাদন করা যাবে ৩ গুণ কম খরচে। একবার চাষে প্রথম ১১০ দিন পর ফলন আসে। পরের ফলন আসে ৪৫ দিন পর। একবার বোরো, দুইবার আউশ, এবং ২ বার আমন ধানের ফলন পাওয়া যায়।

সঙ্গে নতুন জাতের এই ধান যেন সারা দেশে চাষাবাদ করা যায় তার জন্য চেষ্টা করছেন। যে জাতের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার পর আবার ধানের শিষ বেরোয় সেগুলো আবেদ চৌধুরী আলাদা করেন। এভাবে বারোটি জাত বের করে। তিন বছর ধরে চাষ করে দেখেন নিয়মিতভাবে এগুলো দ্বিতীয়বার ফসল দিচ্ছে। তারপরে তিনি শুরু করেন একই গাছে তৃতীয়বার ফসল ফলানো নিয়ে গবেষণা।

চারটি গাছ একই জাত থেকে পাঁচবার ফলন দিচ্ছে। এই চারটি গাছের উপর ১০ বছর ধরে চলছে গবেষণা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বোরো ধানের এই জাত দুই বিঘা জমিতে রোপণ করা হয়। প্রয়োগ করা হয় পরিমাণ মত ইউরিয়া সার। সঠিক ভাবে সেচ ও পরিচর্চা করার পর ১১০ দিনের মধ্যে ৮৫ সেন্টিমিটার থেকে ১ মিটার কাছে উচ্চতার ফসল আসে। পরে মাটি থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় ওই ধান কেটে ফেলা হয়। এই ধান হেক্টর প্রতি দুই থেকে তিন টনের বেশি পাওয়া গিয়েছে প্রতিটি মরশুমে।