Bangladesh: কলকাতায় মৃত বাংলাদেশি জামাত নেতা ম্যাক্সন AK 47 কেন রাখত? চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলাদেশ পুলিশের (Bangladesh Police) দাগী অপরাধী তালিকায় থাকা নুরনবী ওরফে ম্যাক্সনের অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে (Kolkata) কলকাতা থেকে। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ভারতে ঢুকেছিল জামাত ইসলামির…

বাংলাদেশ পুলিশের (Bangladesh Police) দাগী অপরাধী তালিকায় থাকা নুরনবী ওরফে ম্যাক্সনের অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে (Kolkata) কলকাতা থেকে। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ভারতে ঢুকেছিল জামাত ইসলামির শাখা সংগঠন ছাত্র শিবিরের অ্যাকশন স্কোয়াড কর্মী ম্যাক্সন। পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ধরা পড়ে। তাকে বাংলাদেশ ফেরত আনার জন্য দুই দেশের প্রক্রিয়া চলছিল। ম্যাক্সনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর বাংলাদেশ পুলিশ জানাচ্ছে AK 47 আগ্নেয়াস্ত্র সহ সে একবার ধরা পড়েছিল এই দাগী অপরাধী।

জামাত ইসলামি সংগঠনের শাখা ছাত্র শিবিরের অ্যাকশন স্কোয়াড কর্মী ছিল চট্টগ্রামের ম্যাক্সন। মঙ্গলবার রাতে কলকাতার হরিদেবপুরে একটি ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে ম্যাক্সনের ঝুলন্ত দেহ। জানা গেছে, এক বান্ধবী অর্পিতা হাজরার সঙ্গে থাকত ম্যাক্সন ওরফে তমাল চৌধুরী।

কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কাছে অর্পিতা জানান, রাতে ফ্ল্যাটে ফিরে বারবার ডাকাডাকি করলেও ম্যাক্সন ওরফে তমাল দরজা খেলেনি। প্রতিবেশীর সাহায্যে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ম্যাক্সনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশ মৃতদেহ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে  পশ্চিমবঙ্গের সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিল ম্যাক্সন। পরে প্রেসিডেন্সি জেল ঘুরে জামিন পায়। জামিন পাওয়ার পর ম্যাক্সন ও অর্পিতা হরিদেবপুরে থাকতে শুরু করে।

বাংলাদেশ পুলিশ (Bangladesh Police) জানাচ্ছে, ম্যাক্সন চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার জাহানপুর এলাকার বাসিন্দা। ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ম্যাক্সন এবং চট্টগ্রাম থেকে সারোয়ার নামে আরও একজন জামাত ইসলামি সমর্থককে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একে-৪৭ রাইফেল ও গুলি। প্রায় ছয় বছর জেলে থাকার সময় ম্যাক্সন জেল থেকেই  সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত। হুমকি দিয়ে তোলা আদায় সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল ম্যাক্সন।

বাংলাদেশ পুলিশ জানাচ্ছে, ২০১৭ সালে জামিনে বের হয়ে  কাতার চলে যায় ম্যাক্সন ও  সারোয়ার। কাতার থেকে বাংলাদেশে সিল্ডিকেটের মাধ্যমে।হুমকি দিয়ে টাকা তোলার কাজ করত দুজনই

২০২০ সালে কাতার থেকে বাংলাদেশে ফিরে এলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় সারোয়ারকে। নিয়মের ফা়ঁক গলে ঢাকা থেকেই ম্যাক্সন কলকাতায় চলে যায়।