Bangladesh: শীতে তীব্র গ্যাস সংকটে বাংলাদেশ, পোশাক শিল্প-জনজীবনে হাহাকার

তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছে বাংলাদেশে(Bangladesh)। ঘরে রান্নার কাজে যেমন গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না, তেমনি গ্যাসের অভাবে শিল্প উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। মিরপুর ও কামরাঙ্গিরচর ছাড়াও যাত্রাবাড়ি,…

তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছে বাংলাদেশে(Bangladesh)। ঘরে রান্নার কাজে যেমন গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না, তেমনি গ্যাসের অভাবে শিল্প উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। মিরপুর ও কামরাঙ্গিরচর ছাড়াও যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ, শান্তিনগর, মহাখালি, খিলগাঁও, গোলাপবাগসহ আরো অনেক এলাকায় এখন গ্যাসের দেখা মেলাই ভার।গ্যাস সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন বিশেষ করে পোশাক শিল্প সংকটের মুখে। উৎপাদন ৩০ ভাগে নেমে এসেছে।

ঢাকার প্রায় সব এলাকায়ই এখন রান্নার গ্যাসের সংকট চলছে। অভিজাত এলাকায় গ্যাস পাওয়া গেলেও সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকে। এছাড়া অনেক এলাকা আছে যেখানে দিনের বেলায় গ্যাসই থাকে না। বিকল্প হিসাবে ইলেকট্রিক চুলা কিনেছেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন।

বাংলাদেশে প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। পেট্রোবাংলার পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদ্যুৎ, শিল্প, সার গৃহস্থলি, সিএনজিসহ সাতটি সেক্টরে মোট চাহিদা দাঁড়াবে ৩,৭১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।পেট্রোবাংলার হিসেবেই বর্তমানে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাসের ঘাটতি আছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গ্যাসের ঘাটতি আরো বেশি যা দেড় হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের মতো।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্যাস সংকটের কারণ নিজস্ব জ্বালানির উৎপাদন কমেছে আর আমদানি নির্ভরতা বেড়েছে। ডলার সংকটের কারণে অতিরিক্ত আমদানি করাও সম্ভব হচ্ছে না। আগামীতে জ্বালানি সংকট মোকাবিলা এবং আমদানি করে চাহিদা পূরণ করাই হবে বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ।