হাসিনার ‘আরও শক্ত অ্যাকশন’ হুঁশিয়ারি, হ্যাকারদের ‘যুদ্ধ’ বার্তা গেল প্রধানমন্ত্রীর দফতরে

চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিল দাবিতে রাজপথে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের পর এবার সাইবার যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিস্থিতিতে ‘আরও শক্ত অ্যাকশন’ নিয়ে পরিবেশ উন্নত করবেন…

Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina giving a serious address or warning. She is dressed in traditional attire, and the image captures her with a focused expression, likely speaking at an official event or press conference.

চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিল দাবিতে রাজপথে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের পর এবার সাইবার যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিস্থিতিতে ‘আরও শক্ত অ্যাকশন’ নিয়ে পরিবেশ উন্নত করবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তাঁর বার্তার পরেই হ্যাকারদের আক্রমণ শুরু হয়ে গেল। সরকারের একের পর এক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এখন হ্যাকারদের দখলে।

সেনা নামিয়ে গণবিক্ষোভ পরিস্থিতি সামলাতে পারলেও সাইবার সংঘর্ষে বাংলাদেশ সরকারকে বিপদে ফেলে দিল হ্যাকাররা। ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি যারা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধী তাদের উদ্যোগে হ্যাকিং শুরু হয়েছে। সোমবারই ইন্টারনেট সংযোগ পুনরায় চালু করার কথা সরকারের তরফে জানানো হয়। তীব্র বিক্ষোভের কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন।

   

সোমবার রাতেই হ্যাকারদের হামলা হয় খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ওয়েবসাইটে। এই সাইট https://pmo.gov.bd/ এর ওপরে লেখা ‘Hacked by The Resistance’ ! এতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের ছবিসহ গত কয়েকদিনের কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে একাধিক বার্তা রয়েছে।  কালো প্লেটে লাল বর্ণে লেখা রয়েছে, এখন আর প্রতিবাদ নয়, এটা এখন যুদ্ধ।ওয়েবসাইটে ক্লিক করলে অপারেশন হান্টডাউন নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের সঙ্গে লিঙ্ক দেখা যায়।

একইসাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে। এই ওয়েবসাইটের ওপরেও লেখা ‘Hacked by The Resistance’ ও ‘যুদ্ধ’ শব্দ। এর আগে গণবিক্ষোভের সময় গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ পুলিশ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিল গ্রুপটি।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অভ্যুত্থানের ছক করা হয় বলে বাংলাদেশ সরকারের দাবি। এই আন্দোলনের পর বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। আন্দোলনে সরকারি সম্পত্তির উপর হামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হতাহতের তথ্যও তুলে ধরেন তিনি। বিবিসির খবর, শতাধিক নিহত। কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার দাবি নিহত দেড় শতাধিক।