সরকার বাঁচানোর সংকটে শেখ হাসিনা! পড়ুয়াদের অসহযোগ আন্দোলনে বাংলাদেশে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনা করে মীমাংসার বার্তা দিলেও সেই আমন্ত্রণ ফেরাল বিক্ষোভকারীদের মঞ্চ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। ফলে আলোচনা দূর অস্ত।
বাংলাদেশের পড়ুয়ারা গত জুলাই মাস থেকে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ কমানোর দাবি রেখে আন্দোলনে নামেন। অভিযোগ, সেই আন্দোলন থামাতে সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্র ও যুব লীগ সদস্যরা হামলা করেছিল। সেই হামলার প্রত্যাঘাত শুরু করেন পড়ুয়ারা। রক্তাক্ত এই সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের গুলি চালানো পক্ষপাতদুষ্ট বলে আন্দোলন গণবিক্ষোভে পরিণত হয়। শতাধিক নিহত। তবে সরকাকের দাবি আদালতের নির্দেশে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে জেনেও পড়ুয়াদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে জামাত ইসলামি, বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন নাশকতা ছড়ায়। জামাতকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
গত জুলাই থেকে যে রক্তাক্ত আন্দোলন ছড়িয়েছে চলতি আগস্টে সেটি আরও বড় আকার নিল। ঢাকার সংবাদ মাধ্যমগুলিতে বলা হয়েছে, এখন আন্দোলনের মূল লক্ষ্য শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ। আন্দোলন দমনে সরকারের ভূমিকা ভয়াবহ ও নির্বিচারে গুলি করে খুনের অভিযোগে পড়ুয়াদের অভিভাবক ও জনতা সামিল।
গণবিক্ষোভে ভীত ‘খেলা হবে’ স্লোগান-জনক বাংলাদেশ থেকে পলাতক?
বিবিসির খবর, শেখ হাসিনা শনিবার বলেন গণভবনের (প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না। তবে সরকারের আহ্বান উড়িয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
আন্দোলন চলছে। শনিবারও বাংলাদেশ জুড়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কয়েকজন। বিক্ষোভকারীরা দেশবাসীকে খোলা চিঠি পাঠিয়ে সব ধরনের সরকারি কাজে অসহযেগিতার আহ্বান জানান। এই আবেদন হুহু করে ছড়িয়েছে। বিক্ষোভে জনস্রোতে জমায়েতে বাংলাদেশ উত্তাল।