বিপুল শ্রোতা সমাগম হবে। একটা টিকিটের জন্য চলছে। এমন পরিস্থিতিতে একেবারে শেষ মুহূর্তে ঢাকা মহানগর পুলিশ (Dhaka Metropolitan Police) অনুমতি দিলনা ভারতীয়-বাঙালি গায়ক কবীর সুমনের (Kabir Sumon) সঙ্গীতানুষ্ঠানের। ঢাকার পুলিশ কমিশনার মহম্মদ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ(Bangladesh) জাতীয় জাদুঘরে এই অনুষ্ঠানটিতে শ্রোতাদের ভিড় আন্দাজ করেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদি ভিড়ের চাপে জাদুঘরের কোনও অংশের ক্ষতি হয় তাহলে পুলিশি নিরাপত্তাকেই দায়ি করা হবে।
ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আগামী ১৫ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর বাংলা খেয়াল ও ২১ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান পরিবেশনের কথা ছিল কবীর সুমনের। সব টিকিট বিক্রি শেষ।
একেবারে শেষ মুহূর্তে ভিড়ের কারণ দেখিয়ে অনুষ্ঠান বাতিল করায় বিতর্ক বেড়ে গেল। কবীর সুমনের সঙ্গীতানুষ্ঠান বাতিল প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুড়ে সামাজিক গণমাধ্যম ফেলবুকে শেখ হাসিনার সরকারের প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে। কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে ‘সানি লিওন ঢাকায় এসে নাচতে পারেন আর কবীর সুমন গান গাইলেই আপত্তি কেন?’
সম্প্রতি একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে ঢাকা এসে নাচানাচি করেন সানি লিওন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কৈলাশ খের, নারগিস ফাখরি, নুশরত জাহান, যশ, মিমি চক্রবর্তী। নুশরত ও মিমি দুজনেই তৃ়ণমূল কংগ্রেস এমপি। তবে তাঁরা কেই কবীর সুমনের মতো সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে সরব নন তেমন।
বাংলাদেশে সামাজিক গণমাধ্যমে প্রশ্ন উঠছে, ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি বারবার কবীর সুমনের বিরুদ্ধে সরব থাকে। তাদের তরফেও চাপ এসেছে সরকারের কাছে।
অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় এসেছেন কবীর সুমন। শেষ মুহূর্ত অনুষ্ঠান বাতিল এই বিতর্কে লেগেছে রাজনৈতিক রঙ। সামাজিক গণমাধ্যমে প্রশ্ন তুলে বলা হচ্ছে, ভারতের বিজেপি সরকারকে খুশি করতেই কবীর সুমনের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ভিড় হবে জেনেও কেন আগে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়নি। কবীর সুমন প্রবল বিজেপি বিরোধী। তাই বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সরকার ঝু়ঁকি নিতে চায়নি। কবীর সুমনের গানের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয় ভিড়ের কারণ দেখিয়ে।
ভারতের প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃ়ণমূল কংগ্রেসের হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে এখন তিনি কোনওরকম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে থাকেন না। তবে প্রবল বিজেপি বিরোধিতায় সরব থাকেন।