দেশছাড়া হয়েছেন শেখ হাসিনা এবার দেশের বাড়িও চলে গেল। শেখ পরিবারের বিপুল স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর ফলে গণহত্যা চালানোর মামলায় অভিযুক্ত হাসিনার নিজস্ব বলতে তেমন কিছুই আর থাকবে না। গতবছর রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের পর বাংলাদেশে শেষ হয়েছে হাসিনা জমানা। তিনি ভারতে আশ্রিত।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের অন্যতম ঢাকার ধানমন্ডির সুদা সদন। এই ভবনসহ কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছে আদালত। যাদের সম্পত্তি বাজেশ্রাপ্ত করা হয়েছে তারা হলেন- শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, হাসিনার বোন শেখ রেহানা সিদ্দিক, তার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক ও পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর আদালতে দাখিল করা তথ্যে উঠে এসেছে, জয় ও পুতুলের নামে থাকা ১৬ কাঠা জমি ও আরও অনেক স্থাবর সম্পত্তি। পরিবারের বাকি সদস্যদের বিপুল জমি ও বাড়ি।
দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান অভিযোগ উঠেছে,শেখ হাসিনার আত্মীয়রা বিপুল স্থাবর সম্পদ সমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পর্যন্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উল্লিখিত স্থাবর সম্পদ/সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন/স্থানান্তর বা অন্য কোন প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন এ মর্মে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে পরপর তিন দফায় টানা সরকার গড়েছিলেন শেখ হাসিনা। তবে গতবছর সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্রমে গণবিক্ষোভে পরিণত হয়েছিল। সেই বিক্ষোভ দমনে শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করে হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে খুন করা হয় বলে অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে বিচার চলছে।