ভাষা শহিদ মিনার থেকে ‘হাসিনার পদত্যাগ’ চাইল পড়ুয়ারা, রক্তাক্ত রবিবারের আশঙ্কা

“রক্তে আমার লেগেছে আগুন…” এভাবেই কবি নজরুলের ভাষায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিক্ষোভকারীরা (Bangladesh)। জনতার বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তাল বাহান্নর ভাষা শহিদ মঞ্চ (কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার)। লক্ষাধিক…

“রক্তে আমার লেগেছে আগুন…” এভাবেই কবি নজরুলের ভাষায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিক্ষোভকারীরা (Bangladesh)। জনতার বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তাল বাহান্নর ভাষা শহিদ মঞ্চ (কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার)। লক্ষাধিক জনতার গর্জনে বাংলাদেশ (Bangladesh) আলোড়িত। ঢাকার এই সমাবেশ থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে রবিবার থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের তরফে বলা হয়েছে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আর বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, রবিবার থেকে দলীয় সব শাখা সংগঠনকে রাস্তায় নামানো হবে। আশঙ্কা, দুপক্ষের সংঘর্ষে রক্তাক্ত রবিবার দেখতে চলেছে বাংলাদেশ।

   

শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ঘোষণা করা হয় গ্যাস, বিদ্যুত, জলের বিল জমা না করতে। বিদেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন বৈদেশিক মুদ্রা না পাঠান। এদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাজশাহিসহ বাংলাদেশের সর্বত্র বিক্ষোভকারী বনাম পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ চলেছে। কুমিল্লায় সংঘর্ষে একাধিক গুলিবিদ্ধ। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী বলছেন আলোচনার দরজা খোলা আর তাঁর দলের কর্মীরা প্রকাশ্যে গুলি চালাচ্ছে। কুমিল্লায় আগ্মেয়াস্ত্র হাতে গুলি করতে যাওয়া যুবকদের আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে দাবি করে বিক্ষোভকারী পড়ু়যারা।

জামাত ইসলামিকে জঙ্গি চিহ্নিত করে হাসিনার হুঙ্কার পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের ঠাঁই নেই

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়মের সংস্কার চেয়ে পড়ুয়াদের কোটা আন্দোলন রক্তাক্ত। অভিযোগ, সরকার মানবিক আচরণ না করে পরিস্থিতি রক্তাক্ত করে তুলেছে। গুলি করে নির্বিচারে পড়ু়য়াসহ শতাধিক আন্দোলনকারীকে খতম করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের অভিমুখ এখন সরকার বিরোধী গণবিক্ষোভে পরিণত। যদিও সরকারের দাবি, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র চলেছে। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়মের সংস্কার হয়ে এখন ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে।

ফের অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, বিদ্রোহী পড়ুয়া বনাম পুলিশের সংঘর্ষে বহু হতাহত

কোটা নিয়ম সংস্কারের পরেও পুলিশের ধরপাকড় ও গুলি চালিয়ে খুনের সঠিক তদন্তের দাবিতে আন্দোলন চলতে থাকে। গত জুলাই মাস থেকে গণবিক্ষোভে ফের অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। আন্দোলনের এই পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অভিযোগ, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ছক করেছে বিএনপি ও ঘনিষ্ঠ দলগুলি। তাদের মদত দিচ্ছে নিষিদ্ধ জামাত ইসলামি।