Bangladesh: পাকস্থলীর পোড়া অংশ হাতে নিয়ে আর্তি ‘আমাকে বাঁচান’, বিস্ফোরণে মৃত্যুপুরী চট্টগ্রাম

ভয়াবহ পরিস্থিতি। নি:শ্বাস প্রশ্বাসে জ্বালা ধরে যাচ্ছে। একে প্রবল গরম তার সঙ্গে রাসায়নিক বিস্ফোরণের ঝাঁঝ সবমিলে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এখন মৃত্যুপুরী। বাংলাদেশ (Bangladesh)  সেনা ও দমকল বিভাগের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে আগুন নেভানোর।

Advertisements

শনিবার রাত থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত বিস্ফোরণে মৃত বেসরকারি হিসেবে ৫০ জনের অধিক। সরকারি হিসেবে জখম চারশোর বেশি। রবিবার রাতেও চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের আকাশে আগুনের হল্কা। রাসায়নিক ঝাঁঝ সামলে চলছে উদ্ধারকাজ।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানাচ্ছে, সীতাকুন্ডের এই রাসায়নিক কন্টেনার ডিপোতে শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের পর বিস্ফোরণ হয়। রবিবার বিকেল পর্যন্ত অন্তত ৪৯ জন মৃত। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। আগুন নেভাতে দিয়ে দমকল বাহিনীর কয়েকজন কর্মী মারা যান।

Explosion of chemical containers in Chittagong

বিবিসি জানাচ্ছে, বাংলাদেশে দমকল বাহিনীর কর্মকর্তাদের ধারণা, সীতাকুণ্ডের ওই কন্টেনার গোডাউনে  হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রাসায়নিক থাকার কারণে সেখানে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে। কয়েকটি কন্টেনারে অত্যন্ত দাহ্য  রাসায়নিক ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। যার জন্য একাধিক বিস্ফোরণ ঘটেছে।

Advertisements

দমকল কর্মী ও উদ্ধারকারীরা  বলছেন, বিস্ফোরণের পর অনেকের শরীর এমনভাবে পুড়েছে যে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন।

সীতাকুন্ড জুড়ে প্রবল আতঙ্ক। পুড়ে যাওয়া ব্যক্তির পেট থেকে বেরিয়ে এসেছে পাকস্থলীর অংশ। তিনি সেটা হাতে নিয়ে ছুটতে ছুটতে বলছেন আমাকে বাঁচান। এরকম আরও অনেক জখমকে উদ্ধার করছে সেনা বাহিনী। তাদের চিকিৎসা চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কয়েকজনকে ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

Explosion of chemical containers in Chittagong

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানাচ্ছে, এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে রাসায়নিক পদার্থ। সেই রাসায়নিক ড্রেনের মাধ্যমে সমুদ্রে ছড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ তৈরি করে রাসায়নিক প্রতিরোধের চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী।