শনিবার বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীরা দেশের সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করে এবং এক ঘণ্টার মধ্যে দেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদ্যত্যাগ দাবি করেন। সংবাদ সংস্থা দ্য ডেইলি স্টার এই খবরটি জানিয়েছে। এই ঘটনার ঘন্টাখানেকের মধ্যে বিক্ষোভকারী হুমকির মুখে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, এর আগে বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে তিনি পদত্যাগ না করলে, শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালাবেন তাঁরা।
প্রধান বিচারপতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সারাদেশের শীর্ষ আদালত ও নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আবদুল মুকাদ্দিম নামের একজন বিক্ষোভকারী দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করার লক্ষ্য নিয়ে এই ষড়যন্ত্র করেছেন প্রধান বিচারপতি। একটি প্রতিবেদনে মুকাদ্দিম বলেন, “ফ্যাসিস্টরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করতে সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধান বিচারপতিকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। সে কারণেই আমরা প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসেছি।
Protest on demanding resignation of Bangladesh Chief Justice. Ultimatum has been given to him.
📹copied pic.twitter.com/h1QxjQrISo— MUKTADIR rashid ROMEO (@muktadirnewage) August 10, 2024
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন,” ওবায়দুল হাসানকে ঘিরে একাধিক বিতর্ক রয়েছে এবং তিনি বিদেশে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে থাকতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।” প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তেজনার মধ্যে প্রধান বিচারপতি অন্য বিচারপতিদেরসঙ্গে বৈঠক স্থগিত রাখেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সরকারি চাকরি সংরক্ষিত করে সেই বিতর্কিত কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করার পর বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলাশুরু হয়। বিক্ষোভের গতি বেড়ে যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট চাকরির কোটা কমিয়ে ৫% করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভ পরবর্তীকালে ভিন্ন মোড় নিলে , আন্দোলনকারীরা হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে। পরবর্তী হিংসার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।