জামাত ইন্ধনে বাংলাদেশের জেল দখল, পলাতক আনসার আল ইসলাম জঙ্গিরা

বাংলাদেশে (Bangladesh) মেধায় চাকরি ও কোটা সংস্কারের দাবিতে রক্তাক্ত আন্দোলনে একাধিক উগ্র ধর্মীয় সংগঠনের সংযোগ স্পষ্ট হয়েছে সরকারের কাছে। জামাত ইসলামি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামি আন্দোলনের…

Street scene in Bangladesh with people, vendors, and buildings

বাংলাদেশে (Bangladesh) মেধায় চাকরি ও কোটা সংস্কারের দাবিতে রক্তাক্ত আন্দোলনে একাধিক উগ্র ধর্মীয় সংগঠনের সংযোগ স্পষ্ট হয়েছে সরকারের কাছে। জামাত ইসলামি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামি আন্দোলনের মত সংগঠনগুলির সদস্যরা বিক্ষোভের সুযোগ নেয় বলে জানা যাচ্ছে। রক্তাক্ত সংঘর্ষে শতাধিক নিহত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি হয়েছে কারফিউ, নেমেছে সেনা।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার তীব্র সংঘর্ষের পর শনিবার কারফিউ চলাকালীন বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর আসছে। শুক্রবার বিক্ষোভাকারীদের ভয়াবহ হামলায় নরসিংদী জেল কর্তৃপক্ষ পিছু হটেছিল। সেই সুযোগে জেল ভেঙে আটশোর বেশি আসামী পালায়। শনিবার জেল কর্তৃপক্ষ জানায় পলাতকদের তালিকায় আছে অনেক জঙ্গি।

   

বিবিসি’র খবর, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নরসিংদী জেলে হামলা চালায়। ৮২৬ জন কারাবন্দী পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে দুজন জেএমবি নারী জঙ্গি এবং সাত জন আনসার আল ইসলামের সদস্য। চার শতাধিক বিএনপির সদস্যরা পলাতক।

পড়ুয়াদের বিক্ষোভে রক্তাক্ত বাংলাদেশ, জীবন নিয়ে ফিরছেন ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা

আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা বাংলাদেশে একাধিক মুক্তমনা-যুক্তিবাদী ও নাস্তিক লেখকদের খুন করেছে। সংগঠনটির পুরনো নাম আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)। আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ এই আনসার জঙ্গিদের একাধিক সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতে ধৃত। সম্প্রতি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও মিজোরামে আনসার আল ইসলামের কয়েকজন সদস্য ধরা পড়ে। পশ্চিমবঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার মানকর কলেজের এক ছাত্র আনসার জঙ্গি সদস্য হিসেবে ধরা পড়ে। ভারতের অন্যতম সামরিক ঘাঁটি পানাগড়ের কাছে সে জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। নদিয়া থেকেও ধরা পড়ে এক আনসার জঙ্গি।

জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সংগঠনটির কয়েকজন সদস্যকে বাংলাদেশের নরসিংদী জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। জেলে হামলার পর তারা নিশ্চিন্তে পালিয়েছে।

ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশ! সীমান্ত পেরিয়ে প্রাণভয়ে ভারতে ফিরছেন পড়ুয়ারা

বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জেলের ভিতরে তাণ্ডব চলে বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর জেল সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।তিনি বলেছেন, অবস্থা ভয়াবহ ছিল। তারা যা পাচ্ছিল তাই ভাঙচুর করছিল। আমরাই বন্দি হয়ে পড়েছিলাম। পরে কয়েদীরাই আমাদের সাহায্য করে পালাতে। আমরা কোনওভাবে পোশাক বদলে সিভিল ড্রেসে বের হয়ে আসি। পালাতে না পারলে আমাদের মেরেই ফেলত।

তিনি বলেছেন, হামলাকারীদের হাতে লাঠিসোটা, হকিস্টিক, রাম দা, পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। তারা হাতুড়ি দিয়ে মূল ফটকের লক ভেঙে ফেলে। পুরো জেল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা জেল রক্ষীদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। ভিতরে ঢুকে তারা একে একে লক-আপ ভাঙে। সেই সুযোগে অন্যান্য বন্দিদের সঙ্গে পালায় জঙ্গিরা।