Bangladesh: নজিরবিহীন! ‘আসন সমঝোতা’ করে বাংলাদেশে লড়াই সরকার ও বিরোধী দলের

অভূতপূর্ব বললেও কম বলা হবে। বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় নির্বাচনে সরকারপক্ষ আওয়ামী লীগ (AL) ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (JP) আসন সমঝোতা করল। এভাবেই দ্বাদশ…

অভূতপূর্ব বললেও কম বলা হবে। বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় নির্বাচনে সরকারপক্ষ আওয়ামী লীগ (AL) ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (JP) আসন সমঝোতা করল। এভাবেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নামছে দুই পক্ষ। সরকারপক্ষের সাথে আসন সমঝোতা স্বীকার করে নিয়েছে জাতীয় পার্টি। তবে দেশটির মূল বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বলে চিহ্নিত বিএনপি (BNP) নির্বাচন বয়কট করেছে। তারা বলেছে এই ভোট হলো ‘বানরের পিঠা ভাগ’।

একনজরে জাতীয় পার্টি:
বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বৈরশাসক-সেনাশাসক ছিলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তাঁর তৈরি করা দল জাতীয় পার্টি (JP)। রাষ্ট্রপতি পদে এরশাদ ছিলেন ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। তীব্র গণআন্দোলনে এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। তাঁর দল জাতীয় পার্টি গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিরোধী দলের মর্যাদা পায়। এরশাদ ছিলেন বিরোধী নেতা। তিনি প্রয়াত হন ২০১৯ সালে। এরপর বিরোধী দলের নেত্রী হন এরশাদের স্ত্রী রওশন। বর্তমানে জাতীয় পার্টি দুটি অংশে বিভক্ত। একটি অংশের প্রধান রওশন এরশাদ। দ্বিতীয় অংশের প্রধান তাঁর দেওর জিএম কাদের। জাতীয় পার্টিতে দেওর-বৌদি লড়াই চরমে।

সংসদে বিরোধী দল হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব কেবল রংপুর বিভাগে। এবারের নির্বাচনে তারা সরকারপক্ষ আওয়ামী লীগের সাথে আসন সমঝোতা করেছে। আওয়ামী লীগের তরফেও সমঝোতা স্বীকার করা হয়েছে। ফলে এবার সরকার ও সংসদের বিরোধী দল সমঝোতা করেই ভোটে নামবে। জাতীয় নির্বাচন প্রেক্ষিতে এমন চাঞ্চল্যকর ঘোষণা গত ৫২ বছরের বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতিতে নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চর্চায় উঠে আসছে, সরকার ও বিরোধী দলের আসন সমঝোতা করে ভোটে নামার নজির অন্য কোনও দেশেও তেমন নেই।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বলছ্, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও ফের সরকার গড়বে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া ছিলেন এরশাদ। তিনি সরকারের সাথে সমঝোতার রাস্তা পাকা করেছিলেন। সেই পথই নিল জাতীয় পার্টি।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা বিপ্লব বড়ুয়া জানান, এবারের জাতীয় নির্বাচনে মোট ২৫টি আসন জাতীয় পার্টির জন্য ছাড়া হয়েছে। দুই দলে সমঝোতা হয়েছে।জাতীয় পার্টির মহাসচিব মু‌জিবুল হক চুন্নু জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাথে কৌশলগত সমঝোতা হয়েছে। তবে দল লড়াই করবে ২৮৩টি আসনে। আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন মোট ২৬১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে লীগ প্রার্থীরা।