শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই সাংবাদিক বৈঠক করলেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আন্দোলনকারীদের শান্ত তাকার আর্জি জানিয়েছেন। ঘোষণা করেছেন, এখন বাংলাদেশ পরিচালনা করবে অন্তবর্তীকালীন সরকার। বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামাতের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই গঠন করা হবে এই অন্তবর্তীকালীন সরকার। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই এ নিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
তবে, সেনাপ্রধানের বৈঠকে এ দিন ছিলেন না আওয়ামী লীগের কোনও প্রতিনিধি।
সেনাপ্রধানের ঘোষণার পর বলাই যায়, পড়শি বাংলাদেশ এখন বকলমে সেনার দখলে।
আন্দোলনকারীদের প্রতি সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের আবেদন, ‘আপনারা সেনার প্রতি ভরসা রাখুন। আপনারা দয়া করে মারামারি, ভাঙচুর থেকে বিরত থাকুন। আমি নির্দেশ দিয়েছি পুলিশ বা সেনাবাহিনী গুলি চালাবে না। এবাবে ভাল কিছু অর্জন করা যায় না। আপনারা শান্ত থাকলে দেশ উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে। প্রতিটা অন্যায়ের বিচার হবে। ধৈর্য হারাবেন না। আমি নিশ্চিত, আপনারা যদি আমাদের কথামতো চলেন, আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তা হলে আমরা একটা সুন্দর পরিণতির দিকে এগোতে পারব। আমি সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনারা আমাকে সাহায্য করুন।’
পাশাপাশি দেশবাসীর প্রতি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের আশ্বাস, ‘আপনাদের আমি কথা দিচ্ছি। আপনারা এখনই আশাহত হবেন না। আপনাদের যত দাবি আছে, তা আমরা পূরণ করব এবং দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব।’
জাতির উদ্দেশে ভাষণের আগে বাংলাদেশের বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলকেও।
এর আগেই প্রবল গণবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। বোন রেহানাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন তিনি। সূত্রের খবর, শুরুতে ঢাকা থেকে হাসিনার গন্তব্য দিল্লি। সেখান থেকে লন্ডনে যাবেন মুজিব-কন্যা।