Bangladesh: বাংলাদেশের ভোটে ‘ভারতের প্রার্থী’!

বাংলাদেশ (Bangladesh) জাতীয় নির্বাচনে তীব্র শোরগোল তুলেছে ‘আমি ভারতের প্রার্থী’ এমন একটি দাবি। ভাইরাল এই অডিও ক্লিপ নিয়ে পদ্মাপারের রাজনীতি সরগরম। ভোট প্রার্থী হুমকি বার্তায়…

Bangladesh Election

বাংলাদেশ (Bangladesh) জাতীয় নির্বাচনে তীব্র শোরগোল তুলেছে ‘আমি ভারতের প্রার্থী’ এমন একটি দাবি। ভাইরাল এই অডিও ক্লিপ নিয়ে পদ্মাপারের রাজনীতি সরগরম। ভোট প্রার্থী হুমকি বার্তায় এক সরকারি কর্মীকে বলছেন তিনি ভারতের প্রার্থী ও শেখ হাসিনার প্রার্থী।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে ৭ জানুয়ারি। চলছে ভোট প্রচার। শাসক দল আওয়ামী লীগ ও সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে অন্যান্য বিরোধী দলগুলির কটাক্ষ ভোটে বানরের পিঠা ভাগ চলছে। দেশটির মূল বিরোধী দল বলে চিহ্নিত বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ভোটে অংশ নেয়নি। আর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে না পেরে শতাধিক আসনে দলটির বিক্ষুব্ধ নেতারা নির্দল (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হয়েছেন। তেমনই এক প্রার্থী মেহেরপুর-১ (মুজিবনগর, সদর উপজেলা) আসনের প্রাক্তন সাংসদ প্রফেসর আব্দুল মান্নান।

অভিযোগ, প্রফেসর আব্দুল মান্নান ফোনে এক সরকারি কর্মীকে হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি শেখ হাসিনার প্রার্থী, আমি ভারতের প্রার্থী। আমি এখানে হারার জন্য আসিনি।’ স্থানীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাসের অভিযোগ, ফোন করে হুমকি দেন ভোট প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়ে যেতেই বিতর্ক তীব্র। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান। তাঁর দাবি, আমার বক্তব্যকে এডিট করা হয়েছে। ‘আমি ভারতের প্রার্থী না’ বলেছিলাম। ‘না’ শব্দ কেটে অডিও ভাইরাল করা হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া অডিও ঘিরে অভিযোগ, ফোন করে সরকারি কর্মী ডা. অলোক কুমার দাসকে হুমকি দিয়ে প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন,  ‘তুমি বাইরে থেকে এসে মেহেরপুরে খুব আরামেই আছো। টাকা-পয়সা অনেক কামাই করছো। বাড়ি-ঘর করেছো। আমি যদি আর একটা কথা শুনি মন্ত্রীকে (প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন) ভোট দেওয়ার ব্যাপারে, আমি এমপি হই, আর না হই, তোমার মেহেরপুরের বাসা আমি উঠিয়ে দেব। আর যদি তুমি সাবধান হয়ে যাও তাহলে আমার প্রিয় পাত্র হয়ে থাকতে পারবে। এটুকু আমি তোমাকে বললাম। পারলে তোমার মন্ত্রীকে বলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার প্রার্থী, আমি ভারতের প্রার্থী, এটি তোমাকে মনে রাখতে হবে। আমি এখানে হারার জন্য আসিনি। সাবধান হয়ে যাও তুমি। আমি তোমার কোনো কথা শুনব না। আমি যে রিপোর্ট পেয়েছি, আমি খুব অসন্তুষ্ট তোমার প্রতি, তুমি সাবধান হয়ে যাও।’ 

প্রফেসর আব্দুল মান্নানের অভিযোগ, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কেউ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারেন না। অথচ ডা. অলোক কুমার দাস সবসময় প্রতিমন্ত্রীর বাসায় যায়। সেটি কোনো ক্রমেই কাম্য নয়। আমি ফোনে তাকে এটা বোঝাতে চেয়েছি, তার এই আচরণ অন্যায়।

এই এলাকার আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘প্রফেসর আব্দুল মান্নান যেটি করেছেন তা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন। একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে এমন কথা বলতে পারেন না। আর উনি যে প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে দাবি করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করছেন এটা অন্যায়। আমি বিষয়টি নিয়ে রির্টার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেব।’