Bangladesh: কুমির বিক্রি করত ‘তৃণমূল ঘনিষ্ট’ বাংলাদেশি অর্থ পাচারকারী পি কে হালদার

বাংলাদেশি (Bangladesh) অর্থপাচারকারী প্রশান্ত কুমার হালদারকে গতবছর পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ জানাচ্ছে, ধরা পড়ার পর সে ভারতের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের কাছে জেরায়…

বাংলাদেশি (Bangladesh) অর্থপাচারকারী প্রশান্ত কুমার হালদারকে গতবছর পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ জানাচ্ছে, ধরা পড়ার পর সে ভারতের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের কাছে জেরায় জানায় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের এক মন্ত্রীর সাহায্য নিত। কে সেই মন্ত্রী তা স্পষ্ট করেনি। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদারের বিরাট কুমির ফার্ম বিক্রি হয়ে গেল।

ভারতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশের শীর্ষ আর্থিক জালিয়াত পি কে হালদার কলকাতার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি। নানা কৌশলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আমানত লুঠ করে পালিয়ে গেছে দেশের বাইরে। পাচার করেছে। প্রশান্ত কুমার হালদারের মালিকানাধীন কুমিরের খামার ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত। সেই কুমির খামার বিক্রি করেছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। প্রায় ১৩ দশমিক ৮ একর আয়তনের কুমির খামারটি নিলামে প্রায় ৩৮ কোটি টাকায় কিনেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘উদ্দীপন’। খামারটিতে বর্তমানে প্রায় ২৫০০ কুমির রয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে পলাতক পি কে হালদার ও তার ব্যবসায়ী সহযোগীরা এই কুমির ফার্ম থেকে হাজার হাজার কুমিরের চামড়া বিদেশে রফতানি করত। ২০১৩ সালে রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেডের কাছ থেকে খামারটি কিনেছিলেন পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা। ২০০৩ সালে রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড নামে বাংলাদেশে প্রথম কুমির খামার প্রতিষ্ঠা করেন মুশতাক আহমেদ। ২০১৩ সালে মুশতাকের কাছ থেকে খামারটি কিনে ২০১৪ সালে খামারটি কুমিরের চামড়া রফতানি শুরু করে পি কে হালদার।

কুমিরের ব্যবসায়ী হয়ে বিপুল রোজগার যেমন ছিল পি কে হালদারের, তেমনই ছিল আর্থিক জালিয়াতি কারবার। বাংলাদেশে না থেকে কানাডায় থাকত। পরে ভারতে চলে এসে জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র জোগাড় করে থাকত পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশ সীমান্তের লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করা হয়।