Bangladesh: আমরা ফের আক্রমণের নীতিতে ফিরে যাব, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের বিস্ফোরক দাবি

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস সদস্যরা গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ঢুকে গণহত্যা চালিয়েছিল। বদলা নিতে হামাসের এলাকা গাজা ভূখণ্ডে আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। গাজা ভূখণ্ডে হামাস গোষ্ঠীকে…

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস সদস্যরা গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ঢুকে গণহত্যা চালিয়েছিল। বদলা নিতে হামাসের এলাকা গাজা ভূখণ্ডে আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। গাজা ভূখণ্ডে হামাস গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে আকাশপথে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। বোমার হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে প্যালেস্টাইনের এলাকা গাজার স্কুল-হাসপাতাল। মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। কোনোমতেই যুদ্ধ থামার নাম নেই। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার সরাসরি ফিলিস্তিনি অধিকার রক্ষার পক্ষ নিয়েছে।

ঢাকায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে পশ্চিমি বিশ্ব অন্ধের মতো ইজরায়েলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে ইজরায়েল একটা পরিষ্কার বার্তা পেল গণহত্যার জন্য তারা লাইসেন্স পেয়েছে। তারা এখন যা খুশি তাই করতে পারে। তারা হাসপাতালে, শরণার্থীশিবিরে সব জায়গায় বোমা ফেলছে। এমন জায়গাগুলো তারা নিশানা করছে, যে জায়গাগুলোয় দিশাহারা ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছেন। তারা খাবার, জল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি সব বন্ধ করে দিয়েছে। এমন ঘটনা বিশ্বের কোথাও কখনো ঘটেনি। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও নয়। গাজার বাসিন্দারা হলোকস্টের চেয়েও বড় হলোকস্টের মধ্যে আছেন।

জো বাইডেনের পাশাপাশি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন, জার্মান চ্যান্সেলর শলতজের বিরুদ্ধেও সরব প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত। জানতে চান যে, গাজায় চার হাজারের মতো শিশু খুন হয়েছে। তারপরও তাঁরা ঘুমান কী করে? তারপরও তাঁরা তাঁদের জীবন উপভোগ করছেন কী করে? যখন তাঁদের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি প্রশ্ন করে, তখন এই হত্যাকাণ্ডের পক্ষে তাঁরা কী বলে সাফাই গান? ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।

ইউসেফ রামাদান আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাকাণ্ডের সহযোগী। যে বোমা গাজায় ফেলা হচ্ছে, সেই বোমা আমেরিকায় তৈরি, যে জাহাজ তারা ব্যবহার করছে, সেটাও আমেরিকার। ইজরায়েলের কাছে যত অস্ত্রশস্ত্র আছে, সবই আমেরিকা ও পশ্চিমিদের তৈরি। এই গণহত্যার জন্য তারাও দায়ী। ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে বলে তারা আসলে বিশ্বকে বোকা বানাতে চায়।

মার্কিন যুক্তরষ্ট্রের মানুষ যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছে। সেই প্রতিসঙ্গে ইউসেফ রামাদান বলেন আমাদের আর মরফিনের দরকার নেই। ৭৫ বছর ধরে আমরা মরফিনের ওপর বেঁচে আছি। আমরা এবার রোগ নির্মূল করতে চাই। এবারও যদি রোগ নির্মূল না হয়, তাহলে আমরা আক্রমণের বৃত্তে ফিরে যাব। তিনি বলেন, আমরা আমাদের ভূমিতে, আমাদের নিজস্ব পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নিয়ে বাঁচতে চাই। আমরা আমাদের নিজেদের বিমানবন্দর চাই, আমাদের ছেলেমেয়েরা আর সব দেশের ছেলেমেয়েদের মতো নিজের দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাক। কেন আমাদের এভাবে বাঁচতে হবে?একটা কথা জেনে রাখুন, নিজ দেশে নিজ ঘরের দাওয়ায় বসে জুতা পরিষ্কার করা একটা পরাধীন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হওয়ার চেয়ে সম্মানজনক।