2016 Dhaka Attack: হোলি আর্টিজান হামলায় জঙ্গিদের মৃত্যুদণ্ড খারিজ বাংলাদেশের হাইকোর্টে

ধর্ম রক্ষায় রমজান মাসেই নিরীহদের গণহত্যা (2016 Dhaka Attack) করেছিল জঙ্গিরা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হোলি আর্টিজেন ক্যাফেতে ঢুকে নির্বিচারে খুনের…

ধর্ম রক্ষায় রমজান মাসেই নিরীহদের গণহত্যা (2016 Dhaka Attack) করেছিল জঙ্গিরা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হোলি আর্টিজেন ক্যাফেতে ঢুকে নির্বিচারে খুনের ঘটনায় বিশ্ব হয়েছিল স্তম্ভিত। কমান্ডো অভিযানে জঙ্গিদের মেরে বাকিদের উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকার। জঙ্গিরা বাংলাদেশি ও বিদেশিদের হত্যা করেছিল। ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও নব্য জেএমবি সংগঠনের এই হামলার সাত বছরের মাথায় রায় ঘোষণা হলো বাংলাদেশের হাইকোর্টে। ধৃতদের নিম্ন আদালত দিয়েছিল মৃত্যুদণ্ড।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে গণহত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করল বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।সোমবার এই মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেন। তবে এই মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহম্মদ মজিবুর রহমান একজনকে খালাস দিয়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। সেই রায় খারিজ হলো হাইকোর্টে।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত জঙ্গিক নাম রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ। এরা এই হামলায় জড়িত।

হোলি আর্টিজান হামলায় এক ভারতীয় সহায়তা ১৭ জন বিদেশি নাগরিক। ৭ বাংলাদেশি সাধারণ নাগরিক, ২ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ৬ জন হামলাকারীর মৃত্যু হয়। এই জঙ্গি হামলায় বিশ্বজুড়ে পড়েছিল আলোড়ন। তদন্তে উঠে এসেছিল ভারত থেকে গোপনে বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গেছিল জঙ্গিরা। পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া রাজশাহী হয়ে ঢুকেছিল আগ্নেয়াস্ত্র। হোলি আর্টিজান হামলার মূল চক্রী ‘বাংলার বাঘ’ ছদ্মনামে তামিম আহমেদ চৌধুরীকে পরে জঙ্গি দমন অভিযানে খতম করে বাংলাদেশ সরকার। তবে জেলে বন্দি অপর চক্রী রাজীব গান্ধী ছদ্মনামে জাহাঙ্গীর হোসেন। গুলশানের হোলি আর্টিজান হামলার পর বাংলাদেশে একাধিক জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয় শেখ হাসিনার সরকার।