Attack on Gaza: হামাস করেছিল গণহত্যা এবার জলে মারছে ইজরায়েল: বিবিসি

যুদ্ধের দুই প্রান্ত-গাজা ও ইজরায়েলে আছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের গুটিকয়েক সাংবাদিক। তারা জাতি-দেশ ধর্ম পরিচয় ফেলে রেখে তথ্য বিকৃতির জবাবে সঠিক সংবাদ দেওয়ার যুদ্ধ করে…

যুদ্ধের দুই প্রান্ত-গাজা ও ইজরায়েলে আছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের গুটিকয়েক সাংবাদিক। তারা জাতি-দেশ ধর্ম পরিচয় ফেলে রেখে তথ্য বিকৃতির জবাবে সঠিক সংবাদ দেওয়ার যুদ্ধ করে চলেছেন। এই সাংবাদিকদের পাঠানো সংবাদ নিয়ে বিবিসি বিশ্লেষণ kolkata 24×7 এই প্রতিবেদন লিখল। গত ৭ অক্টোবর আচমকা ইজরায়েলের সুরক্ষা বলয় ভেঙে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠি হামাস গণহত্যা চালিয়েছিল। প্রত্যাঘাত শুরু করেছে ইজরায়েল। তবে গাজায় হামলা করলেও ইজরায়েলেপর সেনা প্যালেস্টাইনের অপর অংশ ওয়েস্ট ব্যাংকে ঢোকেনি। সেখানে চলছে প্যালেস্টাইন সরকার। ক্ষমতাসীন ফাতাহ গোষ্ঠি। তারা গাজার শাসক হামাসের বিরোধী।

ইজরায়েল সরকারের লক্ষ্য গাজা ভূখণ্ডের শাসক হামাস সংগঠনকে নির্মূল করা। এমনই লক্ষ্য নিয়ে গাজায় সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করেছে ইজরায়েল। গাজার সাথে যে কয়েকটি চেকপোস্ট আছে সব বন্ধ। শুধুমাত্র মিশরের সাথে গাজার একটি সংযোগ পথ রাফা ক্রশিং দিয়ে কিছু সামগ্রী ঢুকছে গাজায়। তবে ফিলিস্তিনপন্থী হলেও মিশর সরকারও গাজাবাসীর জন্য দরাজ দিল নয়। মিশর সরকার জানিয়েছে, মানবিক সাহায্য পাঠানো হবে। গাজাবাসী নন এমন ভিনদেশিদের রাফা সীমান্ত হয়ে পার নিরাপদ এলাকায় আনা হবে।

গাজার ভিতর কী ঘটছে? বিবিসি সংবাদে বলা হচ্ছে, গাজার ভিতর থাকা কয়েকজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, জলের অভাব আরও বাড়ল। দিনে এক লিটার জলও মিলবে না আর কয়েক ঘণ্টা পর। ইজরায়েল থেকে বিবিসি’র সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, গণহত্যার সময় হামাসের উল্লাসধ্বনির বদলা নিতে নিরীহ গাজাবাসীকে জলে মারতে চাইছে নেতানিয়াহুর সরকার। ইজরায়েলের দাবি, হামাস শুরু করেছিল। এখন শেষ করব আমরা।

রাষ্ট্রসংঘের তথ্য দিয়ে বিবিসি জানাতে, গাজাবাসী দিনে প্রায় তিন লিটার জল পান করতে পারে। তবে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইজরায়েল ভূখণ্ডে “সম্পূর্ণ অবরোধ” শুরু করার পর গাজায় মৌলিক চাহিদার জন্য জল বিপজ্জনকভাবে কমছে। তিন লিটারের মতো জল মিলবে না আর। উপগ্রহ চিত্র থেকে স্পষ্ট, মিশরের দিক থেকে ত্রাণ নিয়ে গাজায় ঢোকার জন্য সার সারি লরি অপেক্ষা করছে।

মিশরে থাকা বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, রাফা সীমান্তে বিরাট রক্ষীবাহিনী মোতায়েন করেছে মিশর সরকার। রাফা সীমান্তের দ্বার পেরোতে লক্ষ লক্ষ গাজাবাসী অপেক্ষায়। তারা অনেকেই বলছেন আমরা হামাস সমর্থক নই। ওরা জঙ্গি গোষ্ঠি। আর ইজরায়েলি একাধিক ব্যক্তি তাদের দেশের সরকারের আচরণে ক্ষুব্ধ। তাদের দাবি, গাজায় গণহত্যা চলছে।