নেপালের পর কি এবার পাকিস্তান? Gen Z আন্দোলনের চাপে শাহবাজ-সরকার!

নয়াদিল্লি: সেপ্টেম্বরেই Gen Z আন্দোলনে সরকারের পতন দেখেছে ভারতের প্রতিবেশী নেপাল। এবার কি সেই পথেই হাঁটছে পাকিস্তানের (Pakistan) যুব সমাজ? শাহবাজ (Shehbaz Sharif) সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক বিচ্ছিন্ন আন্দোলন হয়েই চলেছে পাকিস্তানে। তবে এবার শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্বিন্যাসের দাবীতে পথে নেমেছে পাকিস্তানের যুব সমাজ বা Gen Z।

Advertisements

যদিও এই মাসের গোড়ার দিকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মূলত শান্তিপূর্ণই ছিল। মুজাফ্ফরাবাদের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটিতে ফি বৃদ্ধি এবং উন্নত সুযোগ-সুবিধার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। আন্দোলন তীব্রতর হওয়ার সাথে সাথে প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে।

   

তবে জানা গিয়েছে, এক অজ্ঞাত বন্দুকধারী একদল ছাত্রের উপর গুলি চালালে একজন আহত হয়। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের উপস্থিতিতেই ছাত্রদের উপর গুলি চালায় ওই আততায়ী।

কিসের দাবীতে পাকিস্তানে Gen Z আন্দোলন?

৩০শে অক্টোবর, ছয় মাস বিলম্বের পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তবে, স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা অপ্রত্যাশিতভাবে কম নম্বর পাওয়ার অভিযোগ করলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যার জন্য তারা ই-মার্কিং সিস্টেমকে দায়ী করে।কিছু ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীরা এমন বিষয়গুলিতে পাস করেছে যেগুলির পরীক্ষা তারা এমনকি দেয়নি। যদিও সরকারের কাছ থেকে কোনও স্পষ্টীকরণ পাওয়া যায়নি, মিরপুর শিক্ষা বোর্ড ই-মার্কিং প্রক্রিয়া মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে।

Advertisements

বিক্ষোভকারীরা পুনঃপরীক্ষা ফি মুকুবেরও দাবি জানিয়েছে, যা প্রতি বিষয়ের জন্য মোটা অঙ্কের ১,৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুতরাং, যে শিক্ষার্থীরা তাদের সাতটি বিষয়ের সমস্ত প্রশ্নপত্র পুনঃপরীক্ষা করতে চায় তাদের ১০,৫০০ টাকা দিতে হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এই আন্দোলন শুরু হলেও বর্তমানে তা লাহোরেও ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বর নয়, সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে ভেঙে পড়া অবকাঠামো, দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবহনের অভাবের মত সমস্যা। ৪

Gen Z আন্দোলনই নেপালে অলি-সরকারের পতন ঘটায়

দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভ সামান্য স্ফুলিঙ্গতেই যে দাবানলের রূপ ধারণ করে তার পরপর উদাহরণ থেকেছে বাংলাদেশ ও নেপাল। কে পি শর্মা অলি সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপোষণ সহ একাধিক অভিযোগের উপর চলতি বছর সেপ্টেম্বরে অ্যাপ বাতিল করা নেপালের (Nepal) জনগণের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করে।

যার জেরে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের পতন ঘটায় নেপাল। তেমনই ঘটনা ঘটেছে ২০২২-এ শ্রীলঙ্কা ও ২০২৪-এ বাংলাদেশে। এবার পাকিস্তানের একাধিক অংশে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছে। তাহলে কি পরবর্তী নম্বর পাকিস্তানের? শুরু হয়েছে জল্পনা।