কাঠমান্ডু: সরকার পতনের পর বাংলাদেশের মতই চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নেপালে। বুধবার দেশের প্রায় ৭ টি জেল ভেঙে পালালো ১৫০০ কয়েদি। গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে নেপালে মাথাচাড়া দিয়েছে অপরাধীরা। রাষ্ট্রপতি ভবন, পার্লামেন্ট, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, আদালত সহ একাধিক সরকারি ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ঐতিহাসিক সিংহদরবারে।
এই পরিস্থিতিতে জালেশ্বর জেল থেকে প্রায় ৫৭৭ জন কয়েকদি পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে জেল ভেঙে পালানো কয়েদির সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পোখরা জেল থেকেও প্রায় ৭৭৩ জন কয়েকদি পালিয়ে যাওয়ার খপর মিলছে। মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকালের মধ্যে সারলাহি জেলার মালওয়াঙ্গা জেল থেকে পালানোর চেষ্টা কয়ে অপরাধীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ওই জেলে প্রতিবাদীরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চন্দ্রনাথ পুরসভার জুমলা জেলের প্রায় ৬২ জন কয়েকদি বুধবার ভোররাতে লাঠির বাড়ি মেরে ওয়ার্ডেনকে আঘাত করে জেল ভেঙে পালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বীরগঞ্জ জেলে কয়েদিরা জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালায় পুলিশ। বর্তমানে জেলকে ঘিরে ফেলেছে সেনাবাহিনী।
ভয়ঙ্কর রুপ নিয়েছে নেপালের ছাত্র আন্দোলন। প্রধানমন্ত্রী অলির বাড়িতে ঢুকে পড়ে লুটপাট চালায় আন্দোলনকারীদের একাংশ। বিভিন্ন সরকারি ভবন, শপিং মলেও তুমু লুটপাটের ঘটনা সামনে উঠে আসে। পশুপতিনাথ মন্দিরেও লুটপাটের চেষ্টা হওয়ায় মন্দির ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী।
বলা বাহুল্য, গত বছর আগস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরও ঠিক এইভাবে তাঁর বাসভবনে ঢুকে ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে নেপাল-সেনা।