হিটলারের থেকেও খারাপ অবস্থা, টেট পরীক্ষা নিয়ে তোপ বিকাশের

পাঁচ বছর পর রাজ্যে টেট পরীক্ষায় ছিল কড়া নিরাপত্তা৷ কার্যত আঁটোসাটো নিরাপত্তার মধ্যে টেট কার্যত সুষ্টুভাবেই হয়েছে বলেই দাবি করছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম…

Bikashranjan Bhattacharya suggest bratya basu

পাঁচ বছর পর রাজ্যে টেট পরীক্ষায় ছিল কড়া নিরাপত্তা৷ কার্যত আঁটোসাটো নিরাপত্তার মধ্যে টেট কার্যত সুষ্টুভাবেই হয়েছে বলেই দাবি করছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সহ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু রাজ্য সরকারের আয়োজন নিয়ে কটাক্ষ করতে বিন্দুমাত্র পিছপা হলেন না সিপি(আই)এমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikas Bhattacharya)।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার পরীক্ষা করাবে, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু, পরীক্ষা নেওয়ার আগে এই যে যুদ্ধকালীন ব্যবস্থা- এটা কি কোনও গণতান্ত্রিক দেশ? এটা তো হিটলারের থেকেও খারাপ অবস্থা। একইসঙ্গে শাসক দলের দুর্নীতির বহর দেখে কটাক্ষ করতে পিছপা হননি। তাঁর কথায়, নিজেদের অপদার্থতা আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

২০১৭ সালের পর এবার প্রায় সাত লক্ষ চাকরি প্রার্থীরা টেটে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু তৃণমূলের আমলে গত দুই দফায় যে দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে মামলা চলছে। এবিষয়ে উল্লেখ করে সিপি(আই)এম নেতার মন্তব্য, এই সরকারের নিয়োগে দুর্নীতিই ছিল নীতি। আইনে বাধ্যতা আছে, প্রতি বছর টেট নিতে হবে। অথচ দিনের পর দিন টেট নেওয়া হয়নি। জনগণের চাপে ৫ বছর পর এবছর টেট পরীক্ষা হল। আর পরীক্ষা হল যুদ্ধের মতো করে৷

তিনি আরও বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে যতবার পরীক্ষা হয়েছে, ততবার পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ধারাবাহিকতা দেখলেই সেটা দেখা যাবে। অর্থাৎ গোটা প্রশাসনে দুর্নীতিই মুখ্য উপজীব্য। যারা পরীক্ষা দিচ্ছে, তারা আতঙ্কিত। এমন ভাব দেখানো হচ্ছে যে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য পরীক্ষার্থীরা দায়ী।