World Bank Education : বিশ্বের দরবারে ধিকৃত স্কুল বন্ধ রাখার মমতার ‘অবৈজ্ঞানিক’ সিদ্ধান্ত

পশ্চিমবঙ্গে কার্যত লাটে উঠেছে লেখাপড়া। বন্ধ স্কুল-কলেজের দরজা। মাঝে খুলেছিল কিছু দিন। তৃতীয় ঢেউয়ের জুজুতে ফের ধুলো জমছে ক্লাসরুমে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এডুকেশনের (World Bank Education)…

World Bank Education

পশ্চিমবঙ্গে কার্যত লাটে উঠেছে লেখাপড়া। বন্ধ স্কুল-কলেজের দরজা। মাঝে খুলেছিল কিছু দিন। তৃতীয় ঢেউয়ের জুজুতে ফের ধুলো জমছে ক্লাসরুমে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এডুকেশনের (World Bank Education) পক্ষ থেকে রবিবার স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, করোনার অজুহাত দেখিয়ে স্কুল বন্ধ করার কোনো মানে হয় না। ‘অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এডুকেশনের ডিরেক্টর হাইমে সাভেদ্রা বলেছেন যে অতিমারি (Covid19) পরিস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই। পড়ুয়াদের টীকাকরণ কবে হবে সেই ভেবে চুপচাপ বসে থাকার কোনো মানেই হয় না। সম্পূর্ণ ‘অবৈজ্ঞানিক’ ভাবনা।

   

হাইমে এবং তাঁর দল শিক্ষাব্যবস্থা এবং করোনা বিষয়ক গবেষণা শুরু করেছেন ইতিমধ্যে। ‘করোনা আবহে স্কুল ‘নিরাপদ স্থান’ নয় এমন প্রমাণ আমরা অন্তত পাইনি। পড়ুয়াদের উপস্থিতির ফলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এমন ভাবনার সপক্ষেও কোনো যুক্তি-প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।’ এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলের প্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছেন।

‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির মধ্যে তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। যে কারণ দেখিয়ে স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। এই দুই ক্ষেত্রের মধ্যে যোগসূত্রই নেই। আগামী দিনে যদি অতিমারির আরও পর্যায় আসে, তাহলেও হঠাৎ করে স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাবা প্রয়োজন। রেস্তোরাঁ, বার, শপিং-মল ইত্যাদি খোলা থাকবে আর স্কুল বন্ধ, ভাবাই যায় না।’

আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে একাধিক নির্বাচন। তার আগে বিশ্ব শিক্ষা ব্যাংক কর্তার এই বক্তব্যগুলো হাতিয়ার হতে পারে তৃণমূল বিরোধী যে কোনো দলের কাছে। স্কুল বন্ধ রাখার প্রসঙ্গে একাধিকবার সমালোচনা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের৷ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এবার জানানো হল স্কুল বন্ধ রাখা ‘অবৈজ্ঞানিক’।