চিরকুটে কেন দুরকম কালি, CPIM-এর সিবিআই মার্কা প্রশ্নে হতচকিত তৃণমূল

গোরু, কয়লা পাচার, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই জেরায় জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। এবার উড়ে এলো সিপিআইএমের (CPIM) গোয়েন্দা প্রশ্ন। একগুচ্ছ প্রশ্নে হচকিচ শাসকদল। ফলে চিরকুট রহস্য…

Why two types of ink in notes

গোরু, কয়লা পাচার, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই জেরায় জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। এবার উড়ে এলো সিপিআইএমের (CPIM) গোয়েন্দা প্রশ্ন। একগুচ্ছ প্রশ্নে হচকিচ শাসকদল। ফলে চিরকুট রহস্য আরও জমজমাট।

বাম আমলে চিরকুটে চাকরি হতো মু়খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির পর রাজ্যজুড়ে শুরু হয় গত বামফ্রন্ট আমলে চাকরির নির্দেশ সংক্রান্ত চিরকুট খোঁজার পালা। অবশেষে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে একটি চিরকূট মেলে, তাতো সিপিআইএম দলের নাম লেখা চিঠিতে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।

পূর্বতন চৌত্রিশ বছরের শাসকদল সিপিআইএমকে কটাক্ষ করে বর্তমান শাসক টিএমসি সেই চিরকুট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির যথার্থতা প্রমাণ করে।

চিরকুটে চাকরি বিতর্কে জড়িয়েছে সিপিআইএম। তবে তৃণমূলের দাখিল করা সেই চিরকূট কি সত্যি? সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে আলোচনা। সিপিআইএমের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে বিতর্কিত চিরকুটের ছবি সহ কয়েকটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অভিযোগ এই চিরকূট ‘বানানো’। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে:
“ঘেসোদের‌ জন্য বিশেষ উপদেশ চিরকূট বানানোর সময় কিছু ব্যাপারে খেয়াল‌ রাখা‌ বাঞ্ছনীয়।
১. চিঠির বয়ান লিখেছেন হাজরা‌ আর স‌ই করার‌ সময় মহম্মদ হয়ে‌ গেল কিভাবে?
২. ডেটগুলো ইংলিশ বাংলা মিলেমিশে‌ বিজেমূল হয়ে গেছে। খেয়াল‌ রাখতে হবে ।
৩. পেন একটাই রাখার চেষ্টা করবেন। ওটা দৃষ্টিকটু
৪. কাগজ যদিও পুরনো কিন্তু লেখাগুলো বড্ড চকচকে।
৫. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের চিঠিতে স‌ই এর পাশে‌ ডেজিগনেশন থাকা বাধ্যতামূলক যেহেতু ওটা‌ অফিশিয়াল প্যাডের পাতায় লেখা।”
এই প্রশ্নগুলিতে বিব্রত টিএমসি। চিরকুট রহস্য আরও জমাট।