লোকসভার পর বিধানসভা উপনির্বাচন। ফের বড় জয় তৃণমূলের। যা নিয়ে শনিবার বিকেলে মুম্বই থেকে কলকাতায় ফিরেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ের আবহেই সংযত মমতা বলেছেন, ‘এই জয় মা-মাটি-মানুষের জয়। জয় রাজ্যবাসীকে উৎসর্গ করলাম। চারটের চারটেতেই আমরা জিতেছি।’
বিশাল ব্যবধানে এই চার কেন্দ্রের জয় নিঃসন্দেহে বঙ্গ রাজনীতিতে তাৎপর্যবাহী। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ‘যে আসন অর্থাৎ মানিকতলা আমাদের ছিল, আমাদেরই আছে। কিন্তু বাকি তিনটি আসনে গত বিধানসভা আর লোকসভা- দুটোতেই বিজেপি জিতেছিল। সেই আসনগুলোও আমরা জিতেছি।’
কোন সমীকরণে বিজেপির থেকে তিনটি বিধানসভা আসন ছিনিয়ে নিল তৃণমূল? মমতার ব্যাখ্যা, টরায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণী ছিল বিজেপির বিধায়ক। ও আমাদের দলে যোগ দেওয়ার পর লোকসভায় দাঁড় করিয়েছিলাম। ও জিতেই যেত। কিন্তু লোকসভা ভোটে ওখানে বিজেপি, কংগ্রেস ষড়যন্ত্র করে ওকে হারিয়েছে। আমি তখনই বলেছিলাম, তুমি দাঁড়াও, তোমায় জিততে হবে। তো উপনির্বাচনে ও দাঁড়িয়ে জিতেও গেল। এদিকে, মুকুটমণিও তাই। আমাদের দলে আসার পর লোকসভায় কোনও কারণে হেরেছিল। আবার সুযোগ পেয়ে জিতে গিয়েছে। আর বাগদায় আমরা সবচেয়ে কমবয়সি মধুপর্ণাকে, মমতাবালা ঠাকুরের মেয়েকে দাঁড় করিয়েছিলাম। মধুপর্ণা খুব ভালো লড়াই করেছে। ওদের সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।’
মানিকতলায় বিরাট ব্যবধানে জয়ের তোফা, তৃণমূলে আরও বড় দায়িত্বে কুণাল ঘোষ
এর পরই দলনেত্রী নবনির্বাচিত প্রার্থীদের কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়ল। মানুষের কাজ আরও বেশি করে করতে হবে। মনে রাখবেন, আমরা মানুষের জন্যই আছি। তাঁদের কাজের জন্য আমরা নির্বাচিত হই। তাই কাজ না করে অন্য কিছু করলে চলবে না। আর এই জয় আমরা আগামী ২১ জুলাই, শহিদ দিবসে তাঁদের প্রতি উৎসর্গ করব, যাঁরা সেদিন সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে আন্দোলনে নেমে প্রাণ দিয়েছিলেন।’
জয় তো বটেই, উপনির্বাচনে আর কী কী উপরি পাওনা হল তৃণমূলের?