বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নতুন কড়াকড়ি, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো যাবে অভিযোগ

কলকাতা: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে (Banglar Bari Housing Scheme) স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিল নবান্ন। দ্বিতীয় দফায় প্রকল্পের তালিকা তৈরির সময় কোনও অনিয়ম…

CM

কলকাতা: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে (Banglar Bari Housing Scheme) স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিল নবান্ন। দ্বিতীয় দফায় প্রকল্পের তালিকা তৈরির সময় কোনও অনিয়ম বা পক্ষপাতিত্ব যাতে না হয়, সেজন্য ৬ দফার বিশেষ নজরদারি চালুর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

নতুন গাইডলাইন কী বলছে?

   

সোশ্যাল অডিট টিম তৈরি করে তারা স্বাধীনভাবে তালিকা যাচাই করবে।

মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ক্রস ভেরিফিকেশন করা হবে, যাতে তথ্যভ্রান্তি ধরা পড়ে।

থানা স্তরের ওসি ও আইসি, এবং রাজ্য মনিটরিং টিম প্রয়োজনে তালিকা যাচাই করবেন।

বিডিও ও জয়েন্ট বিডিও বাধ্যতামূলকভাবে ১৫ শতাংশ তালিকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন।

এসডিও স্তরে ৫ শতাংশ, জেলা স্তরে ২ শতাংশ তালিকা পরীক্ষা হবে।

অভিযোগ এলে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে সমাধান দিতে হবে প্রশাসনকে।

এই প্রকল্পে কোনও অনিয়মের অভিযোগ থাকলে তা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো যাবে ‘দিদিকে বলো’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। পাশাপাশি জেলা শাসক, বিডিও ও এসডিও অফিসে রাখা কমপ্লেন বক্সে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার সুযোগও থাকবে।

তালিকা তৈরির সময়সূচি

১০ অক্টোবর: সুবিধাভোগীদের নাম পুনর্মূল্যায়ন সম্পূর্ণ করতে হবে।

Advertisements

১৫ অক্টোবর: সরেজমিনে গিয়ে সুবিধাভোগী যোগ্য কিনা পরীক্ষা করতে হবে।

৩ নভেম্বর: খসড়া তালিকা প্রকাশ গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক ও জেলা অফিসে।

১০ নভেম্বর পর্যন্ত: তালিকা দেখার ও আপত্তি জানানোর সুযোগ।

১৭ নভেম্বর: গ্রাম সভায় নাম অনুমোদনের শেষ তারিখ।

২১ নভেম্বর: বিডিও স্তরে তালিকা চূড়ান্ত।

২৬ নভেম্বর: জেলা স্তরে তালিকা অনুমোদন।

৩০ নভেম্বর: রাজ্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ।

প্রথম দফার পরেই অভিযোগ উঠেছিল যে, প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, আবার অনুপযুক্তদের নাম তালিকায় উঠে আসছে। এই পরিস্থিতি এড়াতে দ্বিতীয় দফায় কড়া নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

এক শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকের কথায়— “এই প্রকল্পে কোনও ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। স্বচ্ছতার মাধ্যমেই বাংলার বাড়ি প্রকল্প সফল করা হবে।”

রাজ্যের দাবি, এই নতুন পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষ আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অভিযোগ জানাতে পারবেন। ‘দিদিকে বলো’ উদ্যোগকেই মূল হাতিয়ার করে অভিযোগ নিষ্পত্তির গতি বাড়ানো হবে।