কলকাতা: পুজোর মুখে প্রকাশিত ২০২৩ সালের টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) পরীক্ষার ফল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ফল প্রকাশ করতেই তৈরি হল নতুন বিতর্ক। দেখা গেল, এবারের ফলাফলে মাত্র ২.৪৭ শতাংশ প্রার্থী উত্তীর্ণ, যা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার-এর মতে উদ্বেগজনক।
চাকরি না দেওয়ার প্রচেষ্টা?
সুকান্ত বলেন, “আগের বছরের তুলনায় হঠাৎ করে পাশের হার এত কম কেন? আগে কি ফলাফল মিশ্রিত বা সাজানো হতো, আর এখন কি ইচ্ছাকৃতভাবে কমানো হচ্ছে? নাকি এটি বেকার যুবকদের চাকরি না দেওয়ার মানসিকতার প্রতিফলন?”
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে ৫৭ হাজার প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, যেখানে ২০২৩ সালে মাত্র ৬ হাজার ৭৫৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬৩ হাজার ৭৫৪। প্রতিমন্ত্রী এই কম সংখ্যার পেছনে প্রশ্ন তুলেছেন পরীক্ষার ন্যায্যতা ও ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে। তিনি বলেন, মাত্র ২.৪৭ শতাংশ পাশের হার অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে৷ এর আগে বেশি সংখ্যক প্রার্থী পাশ করত, তাহলে এবারে এত কম কেন? আগে কি তাহলে জল মেশানো হত নাকি এখন চেপে দেওয়া হচ্ছে?
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া West Bengal TET Low Pass Rate
এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “প্রতিমন্ত্রী নিজে শিক্ষক ছিলেন এবং এখন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। এই ধরনের যুক্তি শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খায় না। পূর্ববর্তী ফলাফল ও বর্তমান ফলাফল মিলিয়ে বিচার করা উচিত। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মন্তব্য করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
ফলাফলের প্রকাশ ও রাজনৈতিক বিতর্ক শিক্ষা ক্ষেত্র এবং চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, যা প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলের নজর কাড়ছে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
