‘‘’প্রাক্তন’ পরিচয় নিয়ে কাজ করতে পারব না…’’ রাজনীতিকে বিদায়ের পথে দিলীপ?

লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আগেই। আসন বাছাই নিয়ে তাঁর ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেয়নি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এমন অভিযোগে বার বার দলীয় নেতৃত্বকে কাঠগড়ায়…

দিলীপ ঘোষ

লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আগেই। আসন বাছাই নিয়ে তাঁর ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেয়নি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এমন অভিযোগে বার বার দলীয় নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। আর তার ফলে দলের আভ্যন্তরে শুরু হয় শোরগোল। তারপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরামর্শেই হয়তো মুখে কুলুপ এটেঁছিলেন তিনি। শোনা গিয়েছিল, আগামী উপ নির্বাচনে কোনও একটি আসন থেকে দাঁড়াবেন তিনি। আর জিতলেই দলের রাজ্য সভাপতির পদে ফিরিয়ে আনা হবে তাঁকে। এমন গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল দলের অন্দরে। ওপর থেকে আপাত দৃষ্টিতে পরিস্থিতি শান্ত মনে হলেও চাপা ক্ষোভ কিন্তু বাড়ছিল দলের অন্দরেই।

 জমে গেল খেলা! NDA-র ঘুম উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে INDIA-র হেমন্ত

   

এমন অবস্থায় একটি বাংলা দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে জলঘোলা বেড়েছে। দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব না পেলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। কারণ এর আগে দীর্ঘদিন রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তারপর সাংসদ হিসেবেও দলের দায়িত্ব সামলান। কিন্তু এবার যদি তাঁকে আর কোনও দায়িত্ব না দেওয়া হয়, তাহলে রাজনীতিকে টা-টা বাই-বাই বলবেন, সাক্ষাত্কারে স্পষ্ট ভাষায় এমনটাই জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘‘আমি অন্য কারও মতো ‘প্রাক্তন’ পরিচয় নিয়ে কাজ করতে পারব না। যত ক্ষণ দলে রয়েছি, তত ক্ষণ কাজ করে গেলেও একটা সময়ের পরে তো সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। রাজনীতি ছাড়াও সমাজের অনেক কাজ রয়েছে।’’

বাংলার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

এখন ‘অনেক কাজ’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা নিয়েও জল্পনা বাড়ছে। এর আগেও তিনি বলেছিলেন দলের কোনও পদ বা কার্যভার না পেলে আবার আরএসএসে ফিরে যাবেন। তাহলে কী এবার তিনি সত্যিই সেদিকেই পা বাড়াবেন। তা নিয়েই জল্পনা বাড়ছে।

চুক্তিভিত্তিক শিক্ষাকর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা রাজ্যের

কথাগুলি বলার সময় তাঁর গলায় আক্ষেপ ঝোড়ে পড়ছিল। তাঁর চিন্তাভাবনা যাদেরকে জানানোর কথা তিনি ইতিমধ্যে তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন, কার্যত স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘এভাবে প্রাক্তণ হয়ে ঘরে বসে থাকতে পারব না। দল কোনও দায়িত্ব দিক, তা নাহলে রাজনীতিকে বিদায় জানাতে হবে।’’ রাজ্য বিজেপিতে তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর বিরোধ অজানা রয়েছে এমন কেউ নেই। সম্প্রতি দলের বিপর্যয়ে শুভেন্দুকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে দলীয় নেতাদের একাংশ। তবে আগামীতে রাজ্য নেতৃত্বে রদবদল হলে দিলীপের ভাগ্যে শিঁকেয় ছেড়ে কিনা সেটাই দেখার।