উচ্চমাধ্যমিকের (WB HS Result 2024) রিভিউয়ে (Higher Secondary Review) আসছে বিরাট পরিবর্তন। বড় খবর জানালেন সংসদ সভাপতি। আজ, বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে এবার দ্রুত রিভিউয়ের ফল প্রকাশ করতে চায় সংসদ। আর তাই চালু হচ্ছে তৎকাল রিভিউ। আবেদনের মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশিত হবে। এর ফলে পড়ুয়াদের অনেকটাই সুবিধে হবে।
সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণ রিভিউয়ের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা দিতে হয়। আর স্কুটিনির ক্ষেত্রে জমা করতে হয় ২০০ টাকা। এই দুই ক্ষেত্রেই রেজাল্ট হাতে পেতে সময় লাগে ৪৫ দিন। তৎকাল স্ক্রুটিনি এবং তৎকাল রিভিউ-এ মাত্র ৭ দিনেই রেজাল্ট পাওয়া যাবে। তবে এই দুটি ক্ষেত্রেই আবেদনের ফি অনেকটাই বেশি। তৎকাল স্ক্রুটিনির জন্য ৬০০ টাকা করে লাগবে। আর তৎকাল রিভিউ-এর ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের জন্য লাগবে ৮০০ টাকা।
এদিন দুপুর ১টায় উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করে সংসদ। পরীক্ষা শেষের ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল ফলাফল। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার ৮৯.৯৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৭ শতাংশ। কলা বিভাগে পাসের হার ৮৮.২ শতাংশ। পাসের হারে সবার ওপরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। কলকাতা রয়েছে পাঁচ নম্বরে। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭,৫৫,৩২৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৬,৭৯,৭৮৪ জন পরীক্ষার্থী। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ২,৩৪১টি।
উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হারে মেয়েদেরকে টেক্কা দিয়েছে ছেলেরা। ছেলেদের পাসের হার ৯২.৩২ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ৮৮.১৮ শতাংশ। ১৫টি জেলার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী মেধাতালিকার প্রথম দশে রয়েছেন। এর মধ্যে ছাত্র রয়েছেন ৩৫ জন, ছাত্রী ২৩ জন। উচ্চমাধ্যমিকে এবছর প্রথম হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র অভীক দাস। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর – ৪৯৬। ৪৯৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সৌম্যদীপ সাহা।
মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অভিষেক গুপ্ত। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর – ৪৯৪। মেয়েদের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছেন প্রতীচী তালুকদার এবং স্নেহা ঘোষ। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর – ৪৯৩। প্রতীচী কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী। আর কৃষ্ণভাবিনী নারীশিক্ষা মন্দিরের ছাত্রী স্নেহা। সার্বিক মেধাতালিকায় তাঁরা চতুর্থ স্থানে রয়েছেন।
মেধাতালিকায় ৫৮ জনের মধ্যে হুগলি থেকে ১৩ জন, বাঁকুড়া থেকে ৯ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ৭ জন, কলকাতা থেকে ৫ জন, পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৪ জন, কোচবিহার এবং মালদহ থেকে ৩ জন রয়েছেন।