সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। পরিস্থিতি শোচনীয়। বন্ধ রেল পরিষেবা। ফলে সীমান্ত পেরিয়ে এপার থেকে ওপার বাংলায় আন্তর্জাতিক ট্রেন চলাচল থমকে গিয়েছে। বাতিল করা অনির্দিষ্টকালের জন্য নিউ জলপাইগুড়ি – ঢাকা মিতালি এক্সপ্রেস বন্ধ করা হয়েছে। এবার ভারতীয় রেলের ঘোষণা, বন্ধ করা হল- কলকাতা – ঢাকা সংযোগকারী মেত্রী এক্সপ্রেস। তবে, এই ট্রেনের টিকিটের পুরো টাকাই ফেরত পাবেন যাত্রীরা।
বাতিল ট্রেনের তালিকা-
আপাতত দু’দিন কলকাতা – ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। বাতিল থাকছে 13108 কলকাতা – ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস, 13107 ঢাকা – কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস, 13109 কলকাতা – ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস।
রেলের ঘোষণা, যাঁরা এই বাতিল তিন মৈত্রী এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেছেন, তাঁরা টিকিটের পুরো টাকা ফেরত পাবেন। তবে, তার জন্য কিছু শর্ত আরোপ করেছে রেল।
টাকা ফেরতের রেলের শর্তাবলী-
– কলকাতা শহরের সংশ্লিষ্ট টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত শুধুমাত্র কলকাতার বিশেষ টিকিট কাউন্টারগুলিতেই করা হবে।
– হারানো টিকিটের জন্য কোনও টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
– বিদেশি পর্যটকদের কাউন্টারে পিআরএসের কার্যক্রমের সময়ের মধ্যেই টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। টিডিআর ইস্যু করা হবে না।
এখন কী অবস্থা বাংলাদেশের?
সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তোলপাড় বাংলাদেশ। সংরক্ষণের বিরোধিতায় পথে নেমেছে সে দেশের লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া, সাধারণ মানুষ। চলে রক্তাক্ষয়ী সংগ্রাম। রবিবার সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট এই সংরক্ষণ ইস্যুতে বড় নির্দেশ দেয়। জানিয়ে দেয় ৯৩ শতাংশ নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে হবে, ৭ শতাংশ হবে সংরক্ষণের ভিত্তিতে। এই ৭ শতাংশ সংরক্ষণের মধ্যে ৫ শতাংশ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য, ১ শতাংশ অন্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য, অবশিষ্ট ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য।
এই নির্দেশের পরও অশান্তির আগুন নেভেনি। নতুন করে অশান্তি হয়েছে। মৃত্যুও হয়েছে। ও বাংলাদেশের সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে এখনও শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয় ও দেশের স্কুল, কলেজ সহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠান। যার প্রভাব পড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ্য সহ রেল যোগাযোগেও।