উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিরাট ধাক্কা খেতে পারে তৃণমূল!

আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই বাংলার চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন (WB Bypoll)। লোকসভা ভোটের বিধানসভাওয়ারি ফলাফলের নিরিখে কেবলমাত্র মানিকতলায় এগিয়ে তৃণমূল। বাকি তিন কেন্দ্র অর্থাৎ, রায়গঞ্জ, রানাঘাট…

TMC leader murder at Shantiniketan

আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই বাংলার চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন (WB Bypoll)। লোকসভা ভোটের বিধানসভাওয়ারি ফলাফলের নিরিখে কেবলমাত্র মানিকতলায় এগিয়ে তৃণমূল। বাকি তিন কেন্দ্র অর্থাৎ, রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদায় বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। একুশের ভোটেও এই তিন কেন্দ্রেই জয় পেয়েছিল বিজেপি।

যদিও পরে তিন বিধায়ক ফুল বদল করেন। যোগ দেন তৃণমূলে। তারপর তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে লড়েন। তবে তাঁদের একজনও জিততে পারেননি। বনগাঁয় হেরেছেন বিশ্বজিৎ দাস, রানাঘাটে হেরেছেন মুকুটমণি অধিকারী, রায়গঞ্জে হেরেছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তৃণমূলের টার্গেট ‘দলবদলু’দের তিন কেন্দ্র বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া।

   

আর তাই জোরদার প্রচার চালাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। এর মধ্যে তৃণমূলের জন্য সবচেয়ে কঠিন হতে পারে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র। কারণ এই কেন্দ্রে মতুয়া ভোটাররা তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর ওপর ক্ষুব্ধ। তাই এই কেন্দ্র দখলে মহুয়া মৈত্র, শংকর সিংয়ের মতো নেতাদের নামানো হলেও আদৌ এখানে ঘাসফুল ফুটবে কি না, সেটা বড় প্রশ্ন।

আদালতের নির্দেশে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের পার্টি অফিস, চলল বুলডোজার

তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেও শোনা যাচ্ছে, রানাঘাট কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বিজেপির সঙ্গে। বিজেপি প্রার্থী মনোজকুমার বিশ্বাস কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হলেও আপাতত রানাঘাট চষে ফেলছেন তিনি। তাঁর হয়ে প্রচার করে গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা।

আর সবচেয়ে বড় কথা, এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী কতটা দাগ কাটতে পারেন, তার ওপর নির্ভর করছে তৃণমূল-বিজেপির ভাগ্য। তৃণমূলের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ, মানিকতলা এবং বাগদা জেতার বিষয়ে দল ১০০ শতাংশ নিশ্চিত থাকলেও রানাঘাট দক্ষিণ নিয়ে চিন্তা থাকছে। ১৩ জুলাই কী হয়, সেই দিকেই এখন নজর সকলের।

দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ অসম্পূর্ণ, মানলেন মমতাও, জানালেন কবে গড়াবে রথের চাকা

লোকসভা ভোটের নিরিখে কোন বিধানসভা পরিস্থিতির আসনের কী পরিস্থিতি

রায়গঞ্জ – একুশের নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে জয় পান বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। চব্বিশের লোকসভা ভোটের নিরিখে রায়গঞ্জ বিধানসভায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট – ৯৩৪০২। তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে ৪৬৬৬৩ ভোট। আর বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে গিয়েছে ১৪৪৭৭ ভোট। অর্থাৎ, এই কেন্দ্রে বিজেপির লিড ৪৬ হাজারেরও বেশি।

রানাঘাট দক্ষিণ – একুশের নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে জয় পান বিজেপি প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। চব্বিশের লোকসভা ভোটের নিরিখে রানাঘাট বিধানসভায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট – ১২৩৫৬৮। তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে ৮৬৬৩২ ভোট। আর বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে গিয়েছে ২১২১৯ ভোট। অর্থাৎ, এই কেন্দ্রে বিজেপির লিড ৩৬ হাজারেরও বেশি।

‘খুব আনন্দের কথা’, রাষ্ট্রপতিকে রাজ্যপালের নালিশের পরও খোশ মেজাজে স্পিকার বিমান!

বাগদা – একুশের নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্র থেকে জয় পান বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। চব্বিশের লোকসভা ভোটের নিরিখে বাগদা বিধানসভায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট – ১১২৭০৪। তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে ৯২০৯০ ভোট। আর আইএসএফের দখলে গিয়েছে ১৮১১ ভোট। অর্থাৎ, এই কেন্দ্রে বিজেপির লিড ২০ হাজারেরও বেশি।

মানিকতলা – একুশের নির্বাচনে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে জয় পান তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডে। তাঁর মৃত্যুতে এই আসন বিধায়কশূন্য হয়েছে। চব্বিশের লোকসভা ভোটের নিরিখে মানিকতলা বিধানসভায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট – ৬২৩৮৯। তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে ৬৬৯৬৪ ভোট। আর বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে গিয়েছে ৯৪২১ ভোট। অর্থাৎ, এই কেন্দ্রে তৃণমূলের লিড মাত্র ৩ হাজার।