আসন্ন বিহার নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার সংশোধন চলছে (Bangla Pokkho)। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৫৩ লক্ষ ভোটারকে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় স্বভাবতই বিরোধীদের ক্ষোভ বেড়েছে। গতকাল ইন্ডিয়া জোট, সংসদ প্রাঙ্গনে একজোট হয়ে এই সংশোধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
প্রতিবাদের জেরে মুলতুবি হয় বাদল অধিবেশন। বাংলা ও বাঙালির অধিকার রক্ষায় নিয়োজিত প্রাণ সংগঠন বাংলাপক্ষ বেশ কয়েক বছর ধরেই দাবি করে আসছিল যে ভোটার তালিকার এক বিশাল সংখ্যক মানুষের নাম বাংলা ও বিহার দুই জায়গাতেই আছে। যা বাংলার পক্ষে বেশ ক্ষতিকর। বাংলাপক্ষের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক মাইতির মতে বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনে আদতে ক্ষতি হল বাংলার।
কৌশিকের মতে বাংলাপক্ষের দাবি ছিল বাংলার ভোটার তালিকা সংশোধন করে তা থেকে বাদ দিতে হবে বিহার থেকে আগত এই মানুষদের। কিন্তু বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনে ফল হল উল্টো। যাদের বিহারের ভোটার কার্ড বাতিল হল তারা বাংলার ভোটার হয়ে থেকে গেল। কৌশিক আরও বলেছেন বিহার থেকে আসা এই মানুষেরা দুই তিন বছর এখানে থেকে স্থানীয় কাউন্সিলার বা কোনো নেতা কে ধরে ভোটার কার্ড তৈরী করে।
নির্বাচন কমিশনের এই সংশোধনের ফলে এবার থেকে এই বিহারীরা অফিসিয়ালি বাংলার ভোটারাধিকার পেয়ে গেল, যা বাংলার পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই মুহূর্তে বাংলাপক্ষ দাবি করছে বাংলার ভোটার তালিকার সংশোধন। কারণ বিহার থেকে আগত ভোটাররা অবৈধভাবে তাদের ভোটার পরিচয়পত্র তৈরী করেছে এবং বাঙালির অধিকারকে ক্ষুন্ন করছে। যা নৈতিক ভাবে কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায়না।
এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সংশোধনী রিপোর্ট বলছে ১৮ লক্ষ ভোটার মৃত এবং এতদিন পর্যন্ত তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে সরানো হয়নি। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য যা উঠে এসেছে তার ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে ৭,৫০, ৭৪২ জন এমন ভোটার আছেন যাদের নাম বিহার এবং বাংলা দুই রাজ্যের ভোটার তালিকাতেই ছিল।
গালওয়ান পর্বের পরে প্রথমবার, চিনা নাগরিকদের ট্যুরিস্ট ভিসার ছাড়পত্র ভারতের
সুতরাং বাংলাপক্ষের বক্তব্য এবং দাবি যে ভীষণ সঙ্গত তা বলাই বাহুল্য। এই সংখ্যক ভোটার যদি পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী ভোটার হয় তবে তা নিঃসন্দেহে বাংলার বাঙালিদেরকে বঞ্চনার কারণ হবে। তাই অবিলম্বে বাংলার ভোটার তালিকা সংশোধন এবং তা থেকে এই ভিন রাজ্য থেকে আগত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। সবচেয়ে বড় কথা এই মুহূর্তে বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধন না হলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে যা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে চলেছে।