ইমাম সংগঠনের গ্রুপে ‘হিন্দু’ বিদ্বেষী মন্তব্যে হুমায়ুন কবীরের সমর্থনে শোরগোল!

কলকাতা ২৭ সেপ্টেম্বর: সাম্প্রতিক কালে রাজ্যের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার (Bengal Politics)ঘটনার উদাহরণ প্রচুর দেওয়া যায়। মুর্শিদাবাদ, মোথাবাড়ি থেকে শুরু করে গতকালের পশ্চিম বর্ধমানের হিংসার ঘটনা…

Bengal Politics communal tension

কলকাতা ২৭ সেপ্টেম্বর: সাম্প্রতিক কালে রাজ্যের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার (Bengal Politics)ঘটনার উদাহরণ প্রচুর দেওয়া যায়। মুর্শিদাবাদ, মোথাবাড়ি থেকে শুরু করে গতকালের পশ্চিম বর্ধমানের হিংসার ঘটনা প্রত্যেকেরই জানা। গতকালই পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে ভগবৎ গীতা বিলি করার সময় বিজেপি কর্মীদের উপরে চড়াও হয়ে তাদের মারধর করে আলাউদ্দিন এবং আজহার।

Advertisements

অভিযোগ ছিল তারা তৃণমূল আশ্রিত। এই ঘটনার পাশাপাশি আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় জনৈক ইমাম সংগঠনের গ্ৰুপে একটি হিন্দু বিরোধী পোস্ট ঘিরে তৈরী হয়েছে চাঞ্চল্য। পোস্টে বলা হয়েছে “২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তাদের একবেলা গোবর আর গোমূত্র খেয়ে থাকা উচিত, তাহলে দেশের খাদ্য সমস্যা কমবে।” আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৫ ট্রিলিওন ইকোনমির টার্গেটও পূরণ হবে।” গ্ৰুপে এই পোস্ট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের জনৈক আইনজীবী।

   

আর এই পোস্টকে সমর্থন জানিয়েছেন খোদ ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। যে হুমায়ুন কবির ২০২০ সালে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার নিয়ে তেলেনিপাড়ায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। তার উপরেই সেই সময় দায়িত্ব ছিল এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ করা।

এই বিতর্কিত এবং হিন্দু বিরোধী পোস্ট কে কেন্দ্র করে নেটিজেনরা তাদের কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী প্রসূন মৈত্র তার সামাজিক মাধ্যমে এই পোস্ট শেয়ার করে বলেছেন একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কি করে এই ধরণের কোনো জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য করতে পারে। সবচেয়ে শোচনীয় হল তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের সমর্থন।

তিনি বলেছেন এই মন্তব্য এবং তার সমর্থনকারী মুখোশধারী চেহারার পিছনে আছে দুই কদর্য মানুষ যারা হিন্দুদের কি ভয়ঙ্কর ঘৃণা করে। ডেবরার তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবির ছিলেন একজন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এবং এখন একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি কি করে এই ধরণের জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের শরিক হতে পারেন, এমনও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন একজন আইনজীবী যার জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর কথা তিনি কিনা জাতি বিদ্বেষের উস্কানি দিচ্ছেন।

তবে জাতি বিদ্বেষী হুমায়ুন কবিরের সম্বন্ধে মানুষ প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন একসময়কার দোর্দন্ডপ্রতাপ পুলিশ অফিসার কিভাবে নিজেকে শাসকের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দিতে পারে তার উদাহরণ তিনি এবং তিনি যে দলের বিধায়ক তাদের মুসলিম তোষণে যে রাজ্যের কি বিশাল ক্ষতিসাধন হয়ে গিয়েছে তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন কয়েকজন।

বোধনের প্রাক্কালে নিজের মেয়ে ‘উমা’র নাম ফাঁস মশাল-কোচ অস্কার ব্রুজোর

মুসলিম তোষণ করে ভুয়ো ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া এবং সেই মামলায় ফেঁসে গিয়ে জয়েন্টের ফলপ্রকাশে দেরি এই ধরনের উদাহরণও দিয়েছেন অনেকে। তবে এই সমস্যা সমাধানে হিন্দু ঐক্য একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে যে বাংলা তথা ভারতবর্ষে আরবীয় সংস্কৃতি ঢুকে যাবে তা নিয়েও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।