আনিস ইস্যুর মাঝেই হাওড়ায় সিপিআইএম কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ চলছে। এর মাঝে সিপিআইএম কর্মীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ায়। মৃত সৌমেন কুন্ডু হাওড়ার বাসিন্দা। তিনি হাওড়ার ৫৮ নম্বর…

আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ চলছে। এর মাঝে সিপিআইএম কর্মীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ায়।

মৃত সৌমেন কুন্ডু হাওড়ার বাসিন্দা। তিনি হাওড়ার ৫৮ নম্বর বাসস্ট্যান্ডেের ছোট ভট্টাচার্যপাড়া সিপিআইএম শাখার সম্পাদক ছিলেন। সোমবার গভীর রাতে সাঁকরাইলের আবাদা স্টেশনের কাছে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। 

   

নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোয় সৌমেন। রাত বাড়তে থাকলেও না ফেরায় চিন্তায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। যোগাযোগ করা হয় লালবাজারেও। খবর পেয়ে সিপিআইএম কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে যায় অন্যান্য দলীয় কর্মীরা। তদন্ত শুরু করলে রাত ১ টা নাগাদ রেল পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে। 

সিপিআইএম কর্মীদের মতে, সৌমেন ছিলেন অজাতশত্রু। আনিস খানের মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে তাঁর নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়। মৃতের পরিবারের দাবি,‌ চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে। কারণ তাঁর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের পর এই ঘটনায় আরও তথ্য পাওয়া যাবে।

রেল লাইনের ধার থেকে এই সিপিআইএম কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। রাতেই রেল পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারকে ফোন করে তাঁর দেহ উদ্ধারের খবর জানানো হয়।

মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সৌমেন বাড়ি থেকে বের হন। সঙ্গে সাইকেল ছিল। বাড়িতে বলে যান দুপুরে খেতে আসবেন না। তবে অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোক চ্যাটার্জিহাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তারপর পরিবার হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনারের অফিসে যোগাযোগ করেন। তারও পরবর্তীতে লালবাজারেও তাঁরা যোগাযোগ করেন।

অনেক রাত পর্য্যন্ত বাড়ি না ফেরার খবর পেয়ে সার্কুলার রোড ৪র্থ বাই লেনে সৌমেনের বাড়িতে পৌঁছে যান এলাকার সিপিআইএম নেতা কর্মীরা। দলটির নেতা সন্দীপ কোলে জানান, সৌমেন ছিল অজাতশত্রু। তিনি পার্টির শাখা সম্পাদক ছিলেন। আনিশ মৃত্যুর ঘটনায় তিনি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি প্রতিবাদ মিছিলেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেও তাঁরা মানতে চাইছেন না। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হোক চাইছেন তাঁরা।

এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে মৃতের দাদার দাবি, তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ মৃতের মাথায় পিছন দিকে আঘাতের চিহ্ন ও নাক দিয়ে রক্ত ক্ষরণের ছবি ধরা পড়েছে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে তাঁরা মনে করছেন।