শুভেন্দুর এলাকায় তৃণমূলের বড় সাফল্য

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর এলাকায় একের পর এক সমবায় নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় (Trinamool Victory) হয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এখনও অনেকটা দূরে। তবে তার আগেই…

Trinamool's Major Victory in Shuvendu's Region

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর এলাকায় একের পর এক সমবায় নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় (Trinamool Victory) হয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এখনও অনেকটা দূরে। তবে তার আগেই বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখ যাচ্ছে রামনগরের সমবায় নির্বাচনের ফলাফল। একেবারে বিজেপির ঘাঁটি বলা যায় এমন এলাকায়, যেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাব রয়েছে, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিশাল জয় একটি অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে পদ্মফুল শিবিরে।

রামনগরের সমবায় নির্বাচনে ৯টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Victory)। আর বিজেপি একটিও আসন পায়নি। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী প্রায় ১০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এর আগে, এই রামনগর এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। তবে এবার, সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের ফলে পরিস্থিতি আরও পাল্টে গেল।

   

বিজেপির রামনগর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত তালগাছড়ি-২ পঞ্চায়েত এলাকার সমবায় সমিতি নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস বিজয়ী হয়েছে। এই অঞ্চলে বিজেপির জমি শক্ত হলেও, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা। সংগঠনগত দুর্বলতা এবং নেতৃত্বের অভাবে বিজেপি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন সমবায় নির্বাচনে একের পর এক পরাজিত হচ্ছে। কদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত করে বলেছিলেন, ‘এখানে বিজেপি সব আসনে হারবে। বিধানসভা নির্বাচন এলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।’

এখন দেখা যাচ্ছে, একের পর এক সমবায় নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিজেপি তার শক্তি হারাচ্ছে। যা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে। বিজেপির পরাজয়ের ফলে তাদের জন্য রাজনৈতিক চাপ বৃদ্ধি পাবে কারণ তারা এই সমবায় নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয় পেয়েছে।

রামনগরের এই জয় তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Victory) জন্য এক বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এখানকার সবুজ আবিরে একসময় বিজেপি শক্ত অবস্থানে ছিল কিন্তু এখন তাদের প্রভাব কমে এসেছে। সমবায় নির্বাচন এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে সাধারণ মানুষ সরাসরি নিজেদের বিষয় নিয়ে ভোট দেন, তাই তৃণমূলের এই জয় আরও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। এটি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি থেকে তৃণমূলের প্রভাব বিস্তারের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য।

তৃণমূল কংগ্রেসের জয় শুধু একটি রাজনৈতিক উপলক্ষই নয়, বরং এটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জনগণের একটি বড় বার্তা। মানুষের আস্থা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর বিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই জয় তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি আরও দৃঢ় করবে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিচ্ছে।

বিজেপির কাছে এটা একটি বড় পরাজয় হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এটি আনন্দের বিষয়। ৯টি আসনের মধ্যে ৯টি আসন জিতে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত তাদের প্রতিষ্ঠা আরও মজবুত করল। ঘাসফুল শিবিরের কাছে এটি একটি বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন তারা।