সিবিআই দেখে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করা বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (MLA Jibonkrishna Saha) নিয়ে নীরব তৃ়ণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। তবে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলে চলছে ফিসফাস আলোচনা ‘সাগরদিঘির মত বড়ঞাতেও হারব’ (Burwan Assembly constituency)। বড়ঞায় বিধায়ক আপাতত সিবিআই ঘেরাটোপে। টানা জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হাউ হাউ করে কাঁদছেন বলে জানা যাচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতির বিস্তর নথি মিলেছে তার ঘরে। তিনি যে মোবাইল দুটি পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তার একটি মিলেছে। পুকুরের জল মেরে পাঁক ঘেটে চলছে সিবিআইয়ের মোবাইল উদ্ধার অভিযান। জানা যাচ্ছে জীবনকৃষ্ণের মোবাইল আছে অত্যন্ত প্রভাবশালীর নাম।
বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে তদন্ত চলছে। সিবিআই দেখে বাড়ির পাঁচিল টপকে পালাতে গিয়ে ধরা পড়েন বিধায়ক। তাকে নিয়ে রাজনৈতিক কটাক্ষের জেরে জেরবার শাসক দল তৃ়ণমূল কংগ্রেস। আর মুর্শিদাবাদের জেলা টিএমসি নেতাদের আশঙ্কা, সাগরদিঘিতে পরাজয় দলের কাছে বড় ধাক্কা।
এই ধাক্কায় জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে সমর্থকদের মধ্যে প্রভাব পড়ছে। এর মাঝে জীবনকৃষ্ণ সাহার রকমসকমে আরও ক্ষতি হয়ে গেল। অনেক নেতার এমনও দাবি, এখনই ভোট হলে বড়ঞা থেকে পরাজয় নিশ্চিত। এই কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস জোট জয়ী হবে। পঞ্চায়েত ভোটে বড়সড় প্রভাব পড়বে বলেও মানছেন তৃ়ণমূল নেতারা।
সিবিআইকে কী বলছেন বড়ঞার বিধায়ক? এই প্রশ্নে রাজনৈতিক মহল আলোড়িত। ইতিমধ্যেই বিস্তর নথি মিলেছে যাতে সরাসরি নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য স্পষ্ট। শুধু নথি থেকেই হিসেব কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত তৃ়ণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তবে তার মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষা করে আরও চমকপ্রদ তথ্য মিলবে বলে মনে করছে সিবিআই।