‘শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাধু নন। উনি তৃণমূলে থেকে কোটি কোটি টাকা খেয়েছেন।’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নামে এই অভিযোগ তুললেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী তথা তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। একই সঙ্গে নাম করে কয়লা পাচার ইস্যুতেও শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) আক্রমণ করেন অরূপ। মঙ্গলবার তালডাংরার সভা থেকে শুভেন্দু অরূপকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার জবাব দিলেন অরূপ।
মঙ্গলবার শুভেন্দু বলেছিলেন, বাঁকুড়া লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী ‘কয়লা চক্রবর্তী’র জেলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষামাত্র! এর পাল্টা অরূপ বলেন, তৃণমূলে থেকে কোটি কোটি টাকা খেয়েছেন, এখন সাধু সাজছেন। তিনি কী করেছেন সব তথ্য আছে। পরিবহন দফতরের মন্ত্রী থাকাকালীন শুভেন্দু কয়লা বোঝাই ট্রাকের কীভাবে রফা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী।
শুভেন্দু আরও বলেন, এ রাজ্যে বি.এড, এম.এ, পি.টি.টি.আই পাসরা চাকরি পায় না। চোরেরা চাকরি চুরি করে নিয়ে যায়। কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়। যোগ্য প্রার্থীদের বদলে অযোগ্যরা শিক্ষকের চাকরি পায় বাংলায়। চাকরির বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন ২১ হাজার মদের দোকান, টেবিল, টুল, ছাতা আর ডিয়ার লটারি।
Suvendu Adhikari: ‘জেলে যাচ্ছেন আরেক তৃণমূল বিধায়ক’, নাম বলে দিলেন শুভেন্দু
বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ সুভাষ সরকারের সমর্থনে মঙ্গলবার তালডাংরায় ‘বিজয় সংকল্প সভা’ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তিনি বলেন, এই ‘ঠগি পিসি’ আর তার ‘চোর ভাইপো’ যত দিন থাকবে, রাজ্যে একটাও শিল্প হবে না, একটাও চাকরি হবে না।
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে আগামী ২৫ মে ভোট। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। আর তৃণমূল টিকিট দিয়েছে তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে। বাম-কংগ্রেস জোটের তরফে সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন বাঁকুড়া আদালতের আইনজীবী নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত।
Suvendu Adhikari: শুভেন্দু গড়ে বিরাট ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেতে পারেন ৭ বারের কাউন্সিলর
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে এবার সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে চার দফার ভোট ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। পঞ্চম ধাপে ২০ মে, ষষ্ঠ ধাপে ২৫ মে এবং সপ্তম ধাপে ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে মোট ৪৩ দিন। আগামী ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।