Travel: পকেটে পয়সা কম? গরিবের ডুয়ার্স পৌঁছে যান এই ভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা: যারা চাইলেও যেতে পারছেন না নর্থ বেঙ্গল তারা যেতে পারেন এখানে। দুধের স্বাদ অল্প হলেও মিটতে পারে ঘোলে। ফেসবুক এখন কার্যত ভাইরাল…

south bengals dooars

নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা: যারা চাইলেও যেতে পারছেন না নর্থ বেঙ্গল তারা যেতে পারেন এখানে। দুধের স্বাদ অল্প হলেও মিটতে পারে ঘোলে। ফেসবুক এখন কার্যত ভাইরাল দক্ষিণের ডুয়ার্স” (Dooars ) নিয়ে পোস্ট।

হাওড়া থেকে ধরুন আমতা লোকাল। বিকেল ৪.৪০ এর লোকাল ট্রেন। ট্রেন ছাড়ে দেরিতে। গন্তব্য দক্ষিণের ডুয়ার্স এ যখন ট্রেন পৌছাবে দেখবেন হাতে গোনা কয়েকজন নামবে স্টেশনে। সবুজে ঘেরা স্টেশন ঝালুয়ারবের, কয়েকদিন ধরে মানুষের কাছে পৌঁছেছে এর নাম , প্রকৃতি প্রেমী কিছু মানুষ আসছে এই নির্জনতা কে সঙ্গী করতে।

south bengals dooars

প্রকৃতি প্রেমীরা বলছেন, ‘অতিরিক্ত ভালোবাসা কখনো ভালো নয় , উপর তলার কিছু কর্মীর নির্দেশে কেটে ফেলা হচ্ছে তাও বেশির ভাগ গাছ যেগুলো কোনো ভাবে ট্রেন চলা চলের কোনো অসুবিধা তৈরি করেনি’ , তাই পরিবেশ প্রেমীরা মানুষকে অনুরোধ করছেন, ‘স্টেশনকে আগের মতো তার নীরবতা বজায় রাখতে দিন পারলে সকলে গাছ কাটা আটকাতে।’

তা হলে ডুয়ার্স কী আর কেন এমন নাম? ‘ডুয়ার্স’ শব্দটির উৎপত্তি ইংরেজি শব্দ Doors তথা ‘দরজা’ থেকে। উত্তরপূর্ব ভারত এবং ভুটানের মধ্যে ১৮টি দরজা তথা প্রবেশদ্বার রয়েছে। এই ১৮টার মধ্যে কয়েকটি প্রবেশদ্বার এখনও সক্রিয়। আমরা যখন ভুটান বেড়াতে যাই, তখন জয়গাঁতে সুবিশাল ভুটান-গেট দেখি। জয়গাঁ প্রবেশদ্বার কিন্তু এই ১৮টি গেটের অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গ-অসম সীমান্ত নিয়ে বয়ে চলে সঙ্কোশ নদী। এই সঙ্কোশ নদীই ডুয়ার্সকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের অংশটিকে বলে পশ্চিম ডুয়ার্স আর অসমের অংশটি হল পূর্ব ডুয়ার্স।

south bengals dooars

পশ্চিমবঙ্গে ডুয়ার্সের বিস্তৃতি তিস্তা থেকে সঙ্কোশ নদী পর্যন্ত। দার্জিলিং-কালিম্পং জেলার সমতল, জলপাইগুড়ি জেলা, আলিপুরদুয়ার জেলা এবং কোচবিহার জেলা জুড়ে বিস্তার করছে ডুয়ার্স অঞ্চল।

অন্যদিকে অসমে ধুবড়ি, কোকড়াঝাড়, বরপেটা, গোয়ালপাড়া ও বঙাইগাঁও জেলা নিয়ে ডুয়ার্স গঠিত। দুই রাজ্য মিলিয়ে ৮৮০ বর্গ কিলোমিটার তথা ৩৪০ বর্গ মাইল অঞ্চল জুড়ে ডুয়ার্স বিস্তৃত। ডুয়ার্সের গড় উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে ৯০ থেকে ১,৭৫০ মিটার।

তাই ডুয়ার্সকে কোনো ভাবেই ছোটো একটা জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। ডুয়ার্স মানে বন্য পশুদের মাঝে হারিয়ে যাওয়া, পাখিদের সেই কোলাহলের মিছিলে শামিল হওয়া। ডুয়ার্স মানে চা বাগানে আনন্দে মেতে ওঠা। ডুয়ার্স মানে দূরে উঁকি মারা কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখে মোহিত হয়ে যাওয়া। ডুয়ার্স মানে তিস্তা-মূর্তি-জলঢাকা-তোর্সা-জয়ন্তি নদীতে নিজেদের যৌবন ফিরে পাওয়া। ডুয়ার্স মানে সমরেশ মজুমদারের সাহিত্যে ডুবে যাওয়া।
দক্ষিণের ডুয়ার্সে এতকিছু না পেলেও কিছু অন্তত পাবেন। তাহলে আর কী ঘুরে আসুন।