গতকাল সিঙ্গুরের সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমা চলে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) ফোন (Mamata’s call to Amit) করে পায়ে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য মিথ্যে। এমনটাই দাবি করে বুধবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার শুভেন্দুকে চিঠি দিল তৃণমূল। চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘মিথ্যে’ বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। না হলে আপনার এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সিঙ্গুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তাঁকে চারবার ফোন করে পা ধরেছে। ফোনে পা ধরেছে বলেছে আমার রাষ্ট্রীয় তকমাটা কি ২৪ অবধি রাখা যাবে না? আর অমিত জি বলেছে। না রাখা যাবে না। আপনি তো ভোট পাননি। আমাদের নির্বাচন কমিশন আপনার সৌরভ দাসের মতো নয়। নিয়মে চলে, আপনি নিয়মের বাইরে গেছেন। তাই আপনি এখন সর্বভারতীয় নয়। পশ্চিম বাংলার অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
গতকাল শুভেন্দুর অধিকারীর এহেন মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তিনি বলেন, ষোল আনার উপর আঠারো আনা মিথ্যে কথা। মানুষের মনে তৃণমূল সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করতে এই সব মিথ্যা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে বলেন, এই মিথ্যা ছড়ানোর জন্য কারও বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা হবে না। আর যত দূর আমার প্রশ্ন, আমি ফোন করেছি প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।
যদিও শুভেন্দু ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা। আপনি দিল্লিতে ফোন করার জন্য ল্যান্ড লাইন ব্যবহার করেছেন। আগামীকাল আমার বক্তব্যের জন্য তৈরি থাকুন।
Yeh Darr Mujhe Achha Laga !
Shameful that you used the same demeaning words "Kimbhut Kimakar" in my reference as you had earlier used in regards to Hon'ble PM.
For making the call to Delhi, you used a landline. I'd expose you in due time.
Wait for my befitting reply tomorrow.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) April 19, 2023
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যের পরেই তৃণমূলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করেছেন রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর বক্তব্য, দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এধরনের কোনও কথা হয়নি। মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসলে দলের মানহানি করেছেন। এধরনের মন্তব্য করার আগে একবার অমিত শাহের কাছ থেকেও সত্যতা যাচাই করেনি। আমরা চাই দ্রুত এই মন্তব্য প্রত্যাহার করুন। নয়তো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।