মহিলাদের জন্য ফের সুখবর,’লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘কন্যাশ্রী’-র পর এবার ‘আলাপচারিতা’

বাংলা রাজনীতিতে মহিলা ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) লক্ষ্য মহিলা ভোট ধরে রাখা। মহিলা ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে তৃণমূল…

TMC: Good News for Women Again, After 'Laxmi's Bhandar' and 'Kanyashree', Now 'Alapcharita'

বাংলা রাজনীতিতে মহিলা ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) লক্ষ্য মহিলা ভোট ধরে রাখা। মহিলা ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বরাবরই তাদের বিশেষ কৌশল গ্রহণ করে এসেছে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বাংলার মহিলাদের দলে টানতে উদ্যোগী। মহিলাদের জন্য এক নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার নাম রাখা হয়েছে ‘আলাপচারিতা’। এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ২৭ জানুয়ারি থেকে এবং চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 

কিছুদিন আগে,২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত হয়েছে ‘দীক্ষা’ কর্মসূচি। ব্লক থেকে শহর প্রায় ৫০০ কর্মিসভা করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) মহিলা সংগঠন দ্বারা আয়োজিত হয়েছিল এই কর্মসূচী। তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ্য ছিল মহিলাদের মধ্যে সরকারী বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। ‘আলাপচারিতা’ কর্মসূচির মাধ্যমে মহিলাদের আরও কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা দলের।

   

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে নারীদের শক্তিশালী ভূমিকায় তৈরি করার জন্য কাজ করে আসছেন। ৪ জানুয়ারি রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস একটি বিশাল মিছিল আয়োজন করেছিল, যেখানে মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল ব্যাপক। এই মিছিলটি দলের প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর হিসেবে কাজ করেছে। তবে, ‘আলাপচারিতা’ কর্মসূচি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই কর্মসূচীতে দল তৈরি করা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া- সবটাই প্রচারে তুলে আনা হবে। বাম আমল থেকে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম-সহ একাধিক গণ আন্দোলন হয়েছে রাজ্যে। অন্যান্য কৃষক আন্দোলন ও মহিলাদের নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি, সবটাই প্রচারের আলোয় তুলে আনা হবে। যা গত এক দশকে রাজ্য সরকারের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

মহিলা ভোটারদের উপর এই উদ্যোগের প্রভাব অনেকটাই সুদূরপ্রসারী হতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মহিলাদের স্বার্থের ক্ষেত্রে তাদের সরকার সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। ‘দীক্ষা’ কর্মসূচির পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ‘আলাপচারিতা’ কর্মসূচি এই বার্তাটিকেই আরও বিস্তৃত করতে চায় তারা। তৃণমূলের সামাজিক কর্মসূচি এবং প্রকল্পগুলি, যেগুলির মধ্য দিয়ে তারা মহিলাদের জন্য কাজ করেছে, তা তুলে ধরতে চায় দল।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস সমাজের প্রতিটি শ্রেণির কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। এই কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে, এবার মহিলা ভোটারদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলার ভোটে মহিলাদের ভোটদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

‘আলাপচারিতা’ কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা ভোটারদের দলের প্রতি বিশ্বাস আরও দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মহিলাদের মধ্যে সরকারের প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের সমস্যাগুলির প্রতি মনোযোগ দেওয়া, এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। আগামী দিনে, তৃণমূল কংগ্রেসের এই ধরনের উদ্যোগ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।